আলোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীর
নিজস্ব প্রতিবেদক
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটি থেকে সদস্যপদ হারানো আলোচিত ব্যবসায়ী হেলেনা জাহাঙ্গীরের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
শুক্রবার শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরী রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন- ১। সেফুদার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল হেলেনা জাহাঙ্গীরের : র্যাব
এর আগে শুনানিকালে নিজেকে এখনো সরকারের লোক বলে দাবি করেছেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। তিনি বলেন, আমি সরকারের ও রাষ্ট্রের লোক, আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করি। আমি এখনো সরকার দলে আছি। কারণ বহিষ্কারের কোনো কাগজপত্র আমি এখনো হাতে পাই নাই। আমার পদ এখনো আছে। আমি প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সঙ্গে ২৫টি দেশ সফর করেছি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে আমি কখনই কিছু বলি নাই, বরং যারা সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলেছে তাদের বিরুদ্ধে কথা ও প্রতিবাদ করেছি, এগুলি ইন্টারনেটেও আছে। দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার মতো কোনো কাজও করিনি।
এর আগে শুক্রবার বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটে হেলেনা জাহাঙ্গীরকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর রাত ৭টা ৫০ মিনিটে তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের গুলশান-২ এর ৩৬ নম্বর রোডের বাড়িতে রা র্যাবের অভিযান শুরু হয়। প্রায় ৪ ঘণ্টা অভিযানের পর দিনগত মধ্যরাতে তাকে আটক করা হয়। এসমায় হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসা থেকে বিদেশি মদ, হরিণের চামড়া, বেশ কিছু ছুরি, বিদেশি মুদ্রা, ক্যাসিনো খেলার সরঞ্জাম ইত্যাদি জব্দ করা হয়েছে বলে র্যাব জানায় ।
এর আগে র্যাব জানায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাসায় অভিযান চালিয়ে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, একটি ক্যাঙ্গারুর চামড়া, ১টি হরিণের চামড়া, ২টি মোবাইল ফোন, ২ ওয়াকিটকি সেট, ১৯টি চেক বই এবং জুয়া (ক্যাসেনো) খেলার সরঞ্জামাদি ৪৫৬ টি চিপস উদ্ধার করা হয়।
সম্প্রতি ফেসবুকে ‘বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের সভাপতি হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের নাম আসায় তাকে আওয়ামী লীগের উপকমিটির পদ থেকে বাদ দেয়া হয়। কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য পদ থেকেও তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। জয়যাত্রা নামে একটি আইপি টেলিভিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও হেলেনা জাহাঙ্গীর।
বিএসডি/এমএম