লাইফস্টাইল ডেস্ক:
আদা এবং পানির গুণ একত্রিত হলে তা আপনার জন্য আরও বেশি সুফল বয়ে আনতে পারে। আপনি যদি নিয়মিত আদা-পানি খেতে পারেন তবে শরীরের অনেক সমস্যাই দূর হবে। এটি আপনাকে ওজন কমাতে সাহায্য করবে, দূর করবে বমি বমি ভাব, নিয়ন্ত্রণে থাকবে রক্তে শর্করার মাত্রা। এছাড়াও আদা-পানি আরও অনেক উপকার বয়ে আনে। বিশ্বাস না হলে নিয়মিত পান করেই দেখুন! তার আগে চলুন জেনে নেওয়া যাক আদা পানি খেলে কী কী উপকার পাবেন-
পেশির টান কমায়
শরীরের বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা আমাদের জন্য নতুন কিছু নয়। নিয়মিত জিমে গিয়ে অনেকের মাসল পেইন হচ্ছে, অনেকের আবার বাড়িতে বসে থাকার কারণে হচ্ছে জয়েন্ট পেইন। কেউ হয়তো শুতে কিংবা বসতে গিয়ে পেয়েছেন চোট। যে কারণে ফুলে উঠেছে হাত-পা। এরকম হলে এক টুকরো আদা ফুটিয়ে সেই পানি ছেঁকে নিয়ে পান করুন। এতে দ্রুতই আরাম পাবেন।
বমি দূর করে
অনেকেরই সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর গা গোলানোর সমস্যা হতে পারে। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েদের মর্নিং সিকনেসের সমস্যা থাকে। কারও আবার গাড়িতে চড়লেই গা গোলাতে থাকে। বমি হতে পারে বা বমি বমি ভাব। এসব দূর করার জন্য আদা-পানি যথেষ্ট। সকালে ঘুম থেকে উঠে খালি পেটে একগ্লাস আদা মিশ্রিত পানি খেয়ে নিন। এতে গা গোলানো এবং বমি বমি ভাব থেকে মুক্তি পাবেন।
পিরিয়ডের ব্যথা কমায়
পিরিয়ডের সময়টাতে পেটে ব্যথা বা ক্র্যাম্প হয় না এমন সৌভাগ্যবতীর সংখ্যা বেশি নয়। এই সমস্যা প্রায় সব নারীর ক্ষেত্রেই দেখা যায়। এক্ষেত্রে কাজে লাগাতে পারেন আদা-পানি। উপকারী ভেষজ আদায় আছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান যা শরীরে প্রদাহের মাত্রা কমিয়ে দেয়। এর ফলে পিরিয়ডের সময় যখন জরায়ু ফুলে যায়, তখন আদা-পানি সেই ফোলা ভাব কাটাতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ পেটের ক্র্যাম্প কিংবা ব্যথাও অনেকটা কমে যায়।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জন্য গ্রিন টি কিংবা ব্ল্যাক কফির বদলে বেশি কার্যকরী হতে পারে আদা-পানি। সেজন্য একটি জগে ঠান্ডা পানি নিয়ে তাতে চিকন করে কাটা আদা, পুদিনা পাতা, সামান্য লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন। এটি খেতে ভালো লাগবে, সেইসঙ্গে শরীরে পর্যাপ্ত পানির জোগানও দেবে। এটি বারবার ক্ষুধা লাগার প্রবণতা কমিয়ে দেবে। ফলে ওজন কমবে দ্রুত।
রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়
ডায়াবেটিস বর্তমান সময়ে একটি আতঙ্কের নাম। যারা টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাদের জন্য উপকারী একটি পানীয় হতে পারে আদা-পানি। প্রতিদিন একগ্লাস পানিতে দুই চামচ শুকনো আদার গুঁড়া গুলে খেতে হবে। এতে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে।