নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে আদিবাসী দুই কিশোরীকে গণধর্ষণের ঘটনায় মামলার মূল অভিযুক্ত সোলায়মান হোসেন রিয়াদসহ তার ৬ সহযোগিকে গ্রেফতার করেছে র্যাব এবং গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শনিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারের র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন জানান, শনিবার সকালে র্যাব-১৪ এর একটি দল ময়মনসিংহের গফরগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার মূল অভিযুক্ত রিয়াদকে গ্রেফতার করে। ঘটনার পর সে একটি মালবাহী ট্রাকে বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করে পরবর্তীতে ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে আত্মগোপন করে।
অপরদিকে, এ ঘটনায় আরও পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গ্রেফতারকৃতরা হল- শরিফ, মিয়া হোসেন, মিজান, রোকন ও হামিদ। শুক্রবার রাতে গাজীপুর, ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট ও তারাকান্দায় অভিযান চালিয়ে ওই পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়। এদের মধ্যে এজাহারভুক্ত আসামি চারজন ও আরেকজন সন্দেহভাজন বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশ সুপার মোহা. আহমার উজ্জামান।
তিনি বলেন, ঘটনার পর যখন আমরা জানতে পারি তখনই ভুক্তভোগী পরিবারকে অভিযোগ দায়ের করতে বলি। পরে তারা মামলা করেন। এ জন্য প্রথম অবস্থায় মামলা রেকর্ড করতেই কয়েকদিন সময় অতিবাহিত হয়েছে। এই দীর্ঘসূত্রতার সুযোগে অভিযুক্তরা গা-ঢাকা দেয়। তবে থানা পুলিশের সহযোগিতায় ডিবির একটি চৌকস দল বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। পলাতক থাকা বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেফতার করা হবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এর আগে, গত ২৭ ডিসেম্বর এক বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয় গারো সম্প্রদায়ের দুই কিশোরী। খবর পেয়ে পুলিশ নির্যাতিতাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের থানায় এনে ১০ জনের নামে মামলা নেয়। এরপর চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিচার চেয়ে কয়েক দফায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে বিভিন্ন সংগঠন।
বিএসডি/ এলএল