খেলাধূলা প্রতিনিধি:
কয়েক দিন আগেই বিগ ব্যাশে ডাক পাওয়ার পর অনিশ্চিত হয়ে পড়েছিল কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের নিউজিল্যান্ড ক্যারিয়ার। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) কেন্দ্রীয় চুক্তিতে থাকা অবস্থায় এ মুহূর্তে বিগ ব্যাশে খেলার অনুমতি ছিল না গ্র্যান্ডহোমের। বিগ ব্যাশের ড্রাফটে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্স দলে টেনেছিল তাঁকে।
এনজেডসির কেন্দ্রীয় চুক্তির নিয়ম অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ সব ক্রিকেটারকে জাতীয় দল ও ঘরোয়া টুর্নামেন্টে খেলার জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে দুটি টেস্ট ও তিনটি ওয়ানডে খেলার কথা আছে নিউজিল্যান্ডের।
এ ছাড়া সাধারণত জানুয়ারিতে হয় নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি লিগ সুপার স্ম্যাশ। চুক্তি অনুযায়ী, ফিট থাকলে দুটির জন্যই গ্র্যান্ডহোমকে বিবেচনা করার কথা। ওই সময়ের মধ্যেই হতে যাওয়া বিগ ব্যাশে তাই খেলার সুযোগ ছিল না গ্র্যান্ডহোমের।
নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট প্লেয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের প্রধান নির্বাহী হিথ মিলস জানিয়ে দিয়েছিলেন, একজনের জন্য নিয়ম বদলাবে না এনজেডসি, ‘কলিন এনজেডসির কেন্দ্রীয় চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার, এটা উল্লেখ করা গুরুত্বপূর্ণ। কোনো খেলোয়াড়ই একপাক্ষিকভাবে শর্ত ভাঙতে করতে পারে না।’
তবে গ্র্যান্ডহোম অবসর নেওয়ায় হতাশ নিউজিল্যান্ডের কোচ গ্যারি স্টিড, ‘নিউজিল্যান্ডের অনেক বড় অর্জনে তাঁর অবদান আছে। সে দলের কথা আগে ভাবত, আমরা একটা চরিত্রকে মিস করব।’
২০১২ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট পা রাখেন গ্র্যান্ডহোম। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে তাঁর শেষ ম্যাচ লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
নিউজিল্যান্ডের হয়ে ২৯টি টেস্ট, ৪৫টি ওয়ানডে ও ৪১টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন গ্র্যান্ডহোম। নিউজিল্যান্ডের জার্সি তুলে রাখলেও ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন এই অলরাউন্ডার।
বিএসডি/ এমআর