স্পোর্টস ডেস্ক:
ম্যাচ একটি, তবে এর ওপর নির্ভর করছে তিনটি দলের সেমি-ফাইনাল ভাগ্য। আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই নিউ জিল্যান্ড উঠে যাবে শেষ চারে। আফগানদের সঙ্গে বাদ হয়ে যাবে ভারতও। আর এর উল্টোটা হলে? পাকিস্তানের সাবেক পেসার শোয়েব আখতারের মতে, শক্তি-সামর্থ্যে এগিয়ে থাকা নিউ জিল্যান্ড হেরে গেলে বিতর্কের ঝড় উঠবে ক্রিকেট বিশ্বে, জন্ম নিবে অনেক প্রশ্ন।
অনেক হিসেবের এই ম্যাচ দিয়েই টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে প্রথমবার মুখোমুখি হবে আফগানিস্তান ও নিউ জিল্যান্ড। আবু ধাবিতে রোববার বাংলাদেশ সময় বিকাল চারটায় শুরু হবে ম্যাচটি।
চলতি বিশ্বকাপে এই দুই দলই রয়েছে ভালো ফর্মে। ২০ ওভারের লড়াই বলে এমনিতেই যেকোনো কিছু ঘটার সম্ভাবনা প্রবলই থাকে। তার ওপর এখন পর্যন্ত আসরে আফগানদের যে পারফরম্যান্স, তাতে তাদের পক্ষে নিউ জিল্যান্ডকে হারানো অস্বাভাবিক কিছু হওয়ার কথা নয়।
এখন পর্যন্ত সুপার টুয়েলভে ৪ ম্যাচের দুটিতে আফগানিস্তান জিতেছে দারুণ দাপটে। ভারতের বিপক্ষে উড়ে গেলেও দুর্দান্ত ছন্দে থাকা পাকিস্তানের সঙ্গে হেরেছে লড়াই করে। তাই তাদেরকে সমীহ করতেই হবে নিউ জিল্যান্ডকে।
সেমি-ফাইনালে জায়গা করে নিতে হলে আফগানদের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই নিউ জিল্যান্ডের। আবার আফগানিস্তান জিতলে সম্ভাবনা তৈরি হবে তাদের ও ভারতের। তখন হিসেবে আসবে নেট রানরেট; গ্রুপ-২ এর দলগুলোর মধ্যে যা বিরাট কোহলির দলের সবচেয়ে ভালো।
প্রথম দুই ম্যাচ হেরে গিয়ে সেমি-ফাইনালে ওঠার পথ শুরুতেই কঠিন করে ফেলে ভারত। পরের ধাপে উঠতে হলে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দিয়ে জয় তো লাগবেই, সঙ্গে তাকিয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের অন্যদের দিকেও। সেই পথে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তারা জিতেছে বড় ব্যবধানে। ওই ম্যাচ নিয়েও উঠছে নানা প্রশ্ন।
এবার যদি নিউ জিল্যান্ডকে হারিয়ে দেয় মোহাম্মদ নবির দল তাহলে আরও বড় বিতর্কের তুফান দেখা যাবে, নিজের ইউটিউব চ্যানেলে শুক্রবার বললেন শোয়েব।
“ভারতের ভাগ্য এখন নিউ জিল্যান্ডের হাতে। নিউ জিল্যান্ড যদি হেরে যায় (আফগানিস্তানের বিপক্ষে) তাহলে অনেক প্রশ্ন তোলা হবে, আমি সতর্ক করছি। আমি ভয় পাচ্ছি যে, এটি আরেকটি সমসাময়িক আলোচনার বিষয় হয়ে উঠবে। আমি কোনো বিতর্কে জড়াতে চাই না। তবে এই মুহূর্তে নিউ জিল্যান্ডের জন্য পাকিস্তানিদের অনুভূতি অনেক বেশি কাজ করছে।”
“আমি মনে করি, আফগানিস্তান থেকে নিউ জিল্যান্ড অনেক ভালো। যদি, আল্লাহ্ না করুক, তারা ভালো না খেলে এবং হেরে যায়, সেটা খুবই সমস্যার হবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আলোচনা কেউ ঠেকাতে পারবে না, যদি এমনটা ঘটে। এটা আমাদের মাথায় রাখতে হবে।”
বিএসডি / আইকে