নিজস্ব প্রতিবেদক
উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জাহাঙ্গীর আলমকে উদ্ধৃতি দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, কাবুল বিমানবন্দরে দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর দেশে ফিরতে না পারা ১৫ বাংলাদেশি নাগরিক নিরাপদে ও ভালো আছেন। কিন্তু তারা ভয়ে বিমানবন্দরে যাচ্ছেন না।
শনিবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজের (বিআইআইএসএস) ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, আটকে পড়া বাংলাদেশিরা নিরাপদে আছেন। কিন্তু ভয়ে বের হতে চাচ্ছেন না। ওখানে যেসব বাংলাদেশি আছেন তাদের আমরা আগেই ফেরত আসতে বলেছি। অনেকে ফেরত এসেছেন। আবার কেউ কেউ আসেননি। ব্র্যাক তাদের অনেক কর্মী দেশে নিয়ে এসেছে।’
আফগানিস্তানে আটকে পড়াদের জন্য কোনো চার্টার্ড ফ্লাইট পাঠাবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, ‘আমি এটা বলতে পারব না। তবে অবস্থার প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ আফগান শিক্ষার্থী বাংলাদেশে ফিরতে চাইলে সরকার ‘না করবে না’ জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আফগানিস্তানের ১৬০ মেয়ে আমাদের এখানে পড়ে। শুনেছি তারা নিজ দেশে আছে, তারা এখন বাংলাদেশে আসতে চাচ্ছে। তারা যদি নিজস্ব উদ্যোগে বাংলাদেশে আসতে পারে আমাদের দিক থেকে কোনো বাধা নেই, দুয়ার খোলা থাকবে।’
কাবুল বিমানবন্দরে ১৫ বাংলাদেশি নাগরিকসহ চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি অব উইমেনের ১৬০ আফগান শিক্ষার্থী কয়েক দফায় বাংলাদেশে আসার জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করেও আসতে পারেননি। এর মধ্যেই বৃহস্পতিবার (২৬ আগস্ট) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে বোমা হামলা হয়। ওই বোমা হামলায় এখন পর্যন্ত ১৭০ জন নিহত হয়েছেন।
আফগানিস্তানে এ পর্যন্ত ২৯ বাংলাদেশির অবস্থান নিশ্চিত হয়েছে দেশটির কূটনৈতিক মিশনের দায়িত্বে থাকা উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাস। তাদের মধ্যে দুজনকে মার্কিন বিমানবাহিনীর বিমানে করে কাবুল থেকে কাতারে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ব্র্যাকের তিন কর্মকর্তাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে কাজাখস্তানে।
বিএসডি/এমএম