আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্র আফগানিস্তানে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তার অঙ্গীকার করেছে মুসলিম বিশ্বের ৫৭ দেশের শীর্ষ সংগঠন ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি)। তারা বলছে, মুসলমানদের এই দেশটি যেন আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদের আঙিনা হিসেবে আর ব্যবহৃত না হয়; অবশ্যই ভবিষ্যৎ নেতাদের বিশ্বকে তা নিশ্চিত করতে হবে।
মুসলিম এই সংগঠনটি ‘ভবিষ্যৎ আফগান নেতৃত্ব’ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছে। যাতে আফগানিস্তান আর কখনো সন্ত্রাসবাদের প্ল্যাটফর্ম অথবা নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসেবে ব্যবহার না হয়।
রবিবার (২২ আগস্ট) সৌদি আরবভিত্তিক সংগঠনটি যুদ্ধবিধ্বস্ত রাষ্ট্রটির বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনার জন্য রিয়াদের একটি বিশেষ সভা ডাকে। মূলত সেই সভা শেষে বিবৃতির মাধ্যমে ওআইসি বলছে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে আর কখনো আফগানিস্তানের মাটিতে পা রাখার অনুমতি দেওয়া হবে না।
ওআইসির আহ্বান এবং সিদ্ধান্তের অধিকাংশ প্রতীকী হলেও গেল সপ্তাহে আফগান রাজধানী কাবুলের দখলে নেওয়া তালেবান বাহিনীর প্রতি সংগঠনটি নিজেদের অবিশ্বাস প্রকাশ করেছে। এমনকি মুসলিম দেশগুলো আফগানিস্তানের নতুন বাস্তবতা নিয়েও ভীষণ উদ্বিগ্ন বলে দাবি ওআইসির।
বিবৃতিতে আফগানিস্তানের শক্তিশালী বিভিন্ন পক্ষকে তাদের মধ্যকার মতবিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধানের জন্য আহ্বান জানিয়েছে মুসলিম বিশ্বের এই সংগঠনটি।
এর আগে চলতি বছরের মে মাস থেকে আফগানিস্তান দখলে অভিযান শুরু করে কট্টর ইসলামপন্থি সংগঠন তালেবান। মূলত এর মাত্র তিন মাসের মাথায় দেশটির ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে ২৮টি নিজেদের দখলে আনতে সক্ষম হয় তারা। এরপর গেল ১৫ আগস্ট থেকে রাজধানী কাবুলের নিয়ন্ত্রণও নেয় তালেবান যোদ্ধারা।
উল্লেখ্য, গত তিন মাস যাবত আফগান প্রদেশগুলোতে যুদ্ধ-সংঘাত চলতে থাকায় ঘর-বাড়ি সহায় সম্বল হারিয়েছেন অসংখ্য বাসিন্দা। তাদের মধ্যে ছোট একটি অংশ এরই মধ্যে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় সীমান্তবর্তী দেশ ইরানে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিয়েছেন। যদিও এখনো রাজধানী কাবুলসহ আফগানিস্তানের বড় শহরগুলোতে লাখ লাখ আফগান সম্পূর্ণ খোলা আকাশের নিচে দিন-রাত কাটাচ্ছেন।
সূত্র : রয়টার্স
বিএসডি/এমএম