আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
তালেবান যোদ্ধারা পাঞ্জশিরে তাদের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন বলে খবর বেরিয়েছে। আবার বিদ্রোহীদের পাল্টা প্রতিহতের খবরও বেরিয়েছে। এরপরই মার্ক মিলি নামের যুক্তরাষ্ট্রের একজন জেনারেল আশঙ্কা করেছেন, আফগানিস্তানে বাজছে গৃহযুদ্ধের ডঙ্কা।
তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন, আফগানিস্তান বড় ধরনের গৃহযুদ্ধের দিকে অগ্রসর হচ্ছে। পাঞ্জশির প্রদেশে বিদ্রোহীদের অনড় অবস্থান সেদিকেই ইঙ্গিত করছে। রয়টার্স।
তালেবান যোদ্ধারা যেভাবে বিজয় উদযাপন করেছে তাতে বহু মানুষ হতাহত হয়েছে। অন্যদিকে পাঞ্জশিরে বিদ্রোহীদের শক্ত অবস্থান এখনও ভাঙতে পারেনি তালেবান। তালেবানের বিজয় উদযাপন বিরোধীদের আরও শঙ্কায় ফেলেছে।
পাঞ্জশির ঘিরে নিজেদের জীবন দিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিদ্রোহীরা। পাঞ্জশির ভ্যালি রক্ষার যে চেষ্টা, তালেবান বিরোধীদের এই বিদ্রোহী মনোভাব গোটা আফগানে ছড়িয়ে পড়তে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাতে দেশব্যাপী গৃহযুদ্ধ শুরু হয়ে যেতে পারে।
তালেবান কর্মকর্তা বিলাল করিমি গতকাল রোববার জানিয়েছেন, পাঞ্জশিরে প্রচণ্ড যুদ্ধ চলছে। সেখানে মানবিক সহায়তা দিতে ইতালির একটি সংস্থা কাজ করছে। সংস্থাটি বলছে, তালেবান যোদ্ধারা পাঞ্জশিরের আনাবাহ গ্রামে পৌঁছে গেছে।
রয়টার্স বলছে, তিন সপ্তাহ আগে যে গতিতে কাবুল দখল করেছে তালেবান, তাতে বিশ্ব হতবাক হয়েছে। এমনকি আফগানের অন্য কট্টর ইসলামপন্থীরাও হতবাক হয়েছে। এরপর তালেবান এখনও সরকার গঠন করতে পারেনি।
মার্কিন জেনারেল মার্ক মিলির প্রশ্ন, একটা গেরিলা বাহিনী দেশ দখলের পর সরকার গঠন করতে পারবে কি-না কিংবা সরকার গঠনের পর ভালোভাবে দেশ চালাতে পারবে কি-না, সে আশঙ্কা রয়েই গেছে।
তিনি বলেন, আমি আফগানিস্তানে গৃহযুদ্ধের প্রবল আশঙ্কা করছি। মিলি মার্কিন সেনাবাহিনীর জয়েন্ট চিফ অফ স্টাফ। তিনি বলছেন, যদি গৃহযুদ্ধ শুরু হয় তাহলে আফগানিস্তান হবে আল কায়েদা ও আইসিসের সবচেয়ে নিরাপদ ময়দান।
মার্ক মিলি বলছেন, পরবর্তী আফগানিস্তান ঠিক কেমন হবে, সেটার ভবিষ্যৎবাণী করছি না। তবে গৃহযুদ্ধ ফিরে আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। আমার আশঙ্কা, খুব সম্ভব ১২, ১৪ অথবা ৩৬ মাসের মধ্যে আফগানের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে সন্ত্রাসবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে।
বিএসডি/এএ