আন্তর্জাতিক ডেস্ক,
আফগানিস্তানের নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে। শনিবার দেশটির জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, আফগান নারী স্বাস্থ্যকর্মীরা ফের কাজে ফিরতে পারেন। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
২৪ আগস্ট তালেবান মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ এক সংবাদ সম্মেলনে আফগানিস্তানের সরকারি কর্মজীবী নারীদের ঘরে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, নারীদের কর্মক্ষেত্রে ফেরানোর প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়ায় সাময়িকভাবে তাদের ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে।
অবশ্য তিনি আরও বলেছিলেন, নারীদের কর্মস্থলে যোগদানে স্থায়ীভাবে বাধা দেওয়া হবে না। তারা যাতে কাজে ফিরতে পারেন, সেই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।
জাবিউল্লাহ মুজাহিদের সেই সংবাদ সম্মেলনের ৪ দিনের মধ্যেই নারী স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজে ফেরার আহ্বান জানাল আফগানিস্তানের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত ১৫ আগস্ট তালেবান বাহিনী কাবুল দখল করার পরপরই দেশটির সরকারি-বেসরকারি সব খাত থেকে নারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিদায় করে তালেবান বাহিনী। ২৪ আগস্টের আগ পর্যন্ত এ সংক্রান্ত আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা যদিও তালেবান নেতারা দেননি। তবে বিভিন্ন দফতরে এ বিষয়ে তালেবান বাহিনী নারী কর্মীদের বাড়িতে পাঠানো বিষয়ক নির্দেশনা দিয়েছে বলে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার কাবুল বিমানবন্দরে বোমা হামলায় নিহত হয়েছেন ১৭৫ জন, যাদের অধিকাংশই বেসামরিক আফগান নাগরিক এবং আহত হয়েছেন আরও কয়েকশ’। স্বাস্থ্যকর্মীদের অপ্রতুলতার কারণে আহতদের চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছে কাবুলের হাসপাতালগুলো।
দেশটিতে করোনা পরিস্থিতিও বেশ খারাপ পর্যায়ে আছে। সরকারিভাবে যদিও বলা হচ্ছে, মহামারির পর থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন মোট ১ লাখ ৫৩ হাজার ৭ জন এবং মারা গেছেন মোট ৭ হাজার ১০৩ জন। কিন্তু বাস্তবে এই সংখ্যা কয়েকগুণ বেশি বলে মনে করছেন দেশটির অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।
দেশটিতে টিকাদান কর্মসূচির গতিও হ্রাস পেয়েছে মারাত্মকভাবে। জাতিসংঘভিত্তিক সংস্থা ইউনিসেফ জানিয়েছে, তালেবানের দখলের পর আফগানিস্তানজুড়ে টিকাদানের পরিমাণ ৮০ শতাংশ কমেছে।