নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্স (বিআইপি) সভাপতি পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেছেন, জুলাই বিপ্লবের পর চারিদিকে সংস্কারের বাতাস লাগলেও আমাদের সংবিধানের অন্যতম মৌলিক একটি চাহিদা, আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে আমরা আজও উদাসীন।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর বাংলামোটরে বিআইপি কনফারেন্স রুমে ‘বাংলাদেশের নগর এলাকার আবাসন পরিকল্পনার সংস্কার ভাবনা’ শীর্ষক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, বিশ্বব্যাপী অক্টোবর মাসকে “আরবান অক্টোবর” বলা হয়। কারণ, এই মাসেই একইসাথে ওয়ার্ল্ড হ্যাবিটেট ডে, ওয়ার্ল্ড সিটিস ডে এবং ওয়ার্ল্ড টাউন প্ল্যানিং ডে পালন করা হয়। জুলাই বিপ্লবের পর চারিদিকে সংস্কারের বাতাস লাগলেও আমাদের সংবিধানের অন্যতম মৌলিক একটি চাহিদা, আবাসন ব্যবস্থা নিয়ে আমরা আজও উদাসীন।
তিনি বলেন, নতুন বাংলাদেশের আবাসন মডেল কী রকম হবে, কারা আমাদেরকে এই রূপরেখা তৈরি করে দেবে, আমাদের তা জানা দরকার। আমরা যে আবাসনের স্বপ্ন দেখি তা কী আমরা গত ২০-৩০ বছরে করতে পেরেছি , আমরা কি এই রূপরেখা বাস্তবায়নের জন্যে উন্নত দেশগুলোকে অনুসরণ করব নাকি আমাদের কমিউনিটি-সমাজ, মানুষের আচার-আচরণ ও সংস্কৃতিকে কেন্দ্র করে পরিকল্পনা করব তার ব্যাপারে আমাদেরকে সচেতন হতে হবে।
এই পরিকল্পনাবিদ বলেন, প্রাণ-প্রকৃতিকে বিবেচনা করে আবাসন পরিকল্পনা করতে হবে। পাশ্চাত্যের কোনো মডেল, আমাদের পরিকল্পনার মডেল হবে না। শুধু ব্যবসায়িক স্বার্থে দেশ ধ্বংস হতে পারে না
আলোচনায় অংশ নিয়ে বিআইপির সাধারণ সম্পাদক পরিকল্পনাবিদ শেখ মুহাম্মদ মেহেদী আহসান বলেন, সংবিধান মোতাবেক আমাদের ৫টি মৌলিক চাহিদার মধ্যে আবাসন অন্যতম হলেও এর সংস্কারে আমরা উদাসীন। শহরের সুযোগ-সুবিধা বেশি হওয়ায় গ্রামের মানুষ বেশি শহরে আসছেন।
তিনি আরও বলেন, পরিকল্পনাবিদদের আবাসন সমস্যার সমাধান করতে পরিকল্পনা কৌশল ঠিক করতে হবে। শিক্ষা ব্যবস্থায় পঞ্চম শ্রেণি থেকে নগরপরিকল্পনা যুক্ত করতে হবে। পরিকল্পনাবিদদের সঠিক মূল্যায়ন না হওয়ায় আজ আবাসন পরিকল্পনার এ অবস্থা বলে দাবি করেন।