হারের কোনো ব্যাখ্যা নেই তার কাছে। প্রশ্নবাণে জর্জরিত নাসুম আহমেদ বারবার বোঝানোর চেষ্টা করছিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু হচ্ছে না।’
তারও ধৈর্য বলতে কিছু আছে! কতক্ষণ শুনতে ভালো লাগে, আপনারা কেন পারছেন না? কেন হচ্ছে না বা কোথায় সমস্যা হচ্ছে? নাসুমের উত্তর সোজাসাপ্টা, ‘বল ভালো হয়নি, ব্যাটিং ভালো হয়নি। গরমেও সমস্যা হচ্ছে না। টানা খেলাতেও ক্লান্ত নই এবং কন্ডিশনও সমস্যা না।’
বাধ্য হয়ে বা মুখ ফসকে বাঁহাতি স্পিনার বলে দিলেন, ‘বারবার একই প্রশ্ন। আমরা তো ভাই চেষ্টা করছি। হচ্ছে না… আমাদের ভাগ্য খারাপ। আমরা চেষ্টা করছি, কিন্তু আমাদের দিয়ে হচ্ছে না।’
শ্রীলঙ্কার সঙ্গে নুন্যতম লড়াইটা করেছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২৪ রানের পুঁজি নিয়ে লড়াই করা সম্ভব না ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তবুও আশা দেখিয়েছিলেন আদীল রশিদ, লিভিংস্টোন ও মঈন আলীরা। তাদের বল ইনিংসের শুরু থেকেই ঘুরছিল।
দল জিততে না পারার আক্ষেপও ঝরল তার কণ্ঠে, ‘জিততে পারছি না এইজন্য একটু খারাপ লাগছে। আমরা চেষ্টা করছি কিন্তু মাঠে প্রয়োগ করতে পারছি না।’
বিশ্বকাপের লড়াই থেকে এখনও ছিটকে যায়নি বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজ, দক্ষিণ আফ্রিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারলে সেমিফাইনালের আশা টিকে থাকবে। সামনে কি করতে হবে বাংলাদেশকে? নাসুমের উত্তর, ‘ভালো খেলতে হবে। আমাদের তিনটি ম্যাচ আছে। এখান থেকে একটা ক্লিক করতে পারলে বাকি দুইটাও ক্লিক করতে পারব। আর একটা জিতলে পরের ম্যাচের জন্য আত্মবিশ্বাসী হয়ে যাব। একজন ব্যাটসম্যান বা বোলার পারফর্ম করলে জেতার একটা সুযোগ থাকে।’
বিএসডি/এসএসএ