বর্তমান সময় ডেস্ক:
আদালতের রায়ে চলচ্চিত্র শিল্প সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে পুনর্বহাল থাকছেন জায়েদ খান। আজ বিকেলে এসেছিলেন নিজের দাপ্তরিক চেয়ারে বসার জন্য। কিন্তু এসে দেখেন রুম তালা দেওয়া। দীর্ঘ চেষ্টায় অবশেষে তালা খুলে নিজের চেয়ারে বসেছেন জায়েদ খান। পরে সংবাদ সম্মেলনে জায়েদ খান বলেন, ‘আমি চেয়ারের পাগল না। আমি আদালতে দৌড়েছি অধিকার আদায়ের জন্য। আমি পরাজিত হলে নিপুণকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানাতাম।’
জায়েদ খানের সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অরুণা বিশ্বাস, সুচরিতা, জয় চৌধুরীসহ অনেকে।
এ সময় জায়েদ ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘হেরে তারা আমার নামে যা তা বলেছে। অবৈধভাবে আমার চেয়ার দখল করেছে। একটি মেয়েকে দিয়ে এটাই বলিয়েছেন, আমি তাকে নাকি হোটেলে নিয়ে গেছি। এসব নিয়ে তারা ইউটিউবে বাজে প্রচারণা চালাচ্ছে। আমি একটা শিক্ষিত ছেলে, এ ধরনের বাজে কাজ করতে পারি? তারা প্রমাণ দেখাক, পারবে না। আমাকে নিয়ে এমন কোনো পরিকল্পনা নেই তারা করেনি। মিথ্যা স্ক্রিন শট দেখিয়েছে। মার্ডার কেসে ফাঁসানোর চেষ্টা করল। আমার বিরুদ্ধে র্যালি করাল। শিল্পী সমিতি দখল করা যায় না। শিল্পী সমিতি ফিরিঙ্গিদের মতো জমি দখল না।’
এ সময় জায়েদ খান আরও বলেন, ‘আজ তিনটার সময় ক্ষমতার লোভে তালা দিয়ে সবাইকে ছুটি দিয়েছে। আমার অফিসে আমি ঢুকতে পারলাম না। আমাকে অপেক্ষা করতে হলো। আমি তাদের মতো লোভী না। তাদের মতো ক্ষমতার লোভে আজ তিনটার সময় তালা দিয়ে অফিস বন্ধ করিনি। আর মাঝে আমি দুই দিন সময় পেয়েছিলাম চেয়ারে বসার, কিন্তু বসিনি। কারণ, আমার ভয় নেই। জানতাম চেয়ার আমার হবে। আজ আদালতের মাধ্যমে সত্য বেরিয়ে এল। তবে এটাও বলে রাখি এই ষড়যন্ত্র এখানেই থেমে থাকবে না। তারা আবার নতুন ষড়যন্ত্র শুরু করবে।’
গত ২৮ জানুয়ারি নির্বাচনে শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক পদে সহকর্মীদের ভোটে জয়লাভ করেন জায়েদ খান। কিন্তু ফলাফল মেনে নেননি সাধারণ সম্পাদক পদে হেরে যাওয়া নিপুণ। তিনি আপিল করেন। একসময় নির্বাচনের আপিল বিভাগ নিপুণকে সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী ঘোষণা করেন। অন্যদিকে অবৈধভাবে জায়েদ খানের প্রার্থিতা বাতিল করেন। পরে পদটি নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। এটি এখন নিষ্পত্তির দায়িত্ব চলে যায় উচ্চ আদালতে। বেশ কয়েকবার শুনানি পিছিয়ে সর্বশেষ বুধবার দিন ধার্য হয়। পরে সকাল থেকেই শুরু হয় শুনানি। আদালত জায়েদ খানকে স্বপদে বহাল রাখেন।
বিএসডি/ এফএস