নিজস্ব প্রতিবেদক:
নবম দফায় কক্সবাজার থেকে নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছাল আরও ৭০৫ জন রোহিঙ্গা। এ নিয়ে ভাসানচর আশ্রয়ণকেন্দ্রে রোহিঙ্গা নাগরিকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৯ হাজার ৬৬২ জন।
বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুর আড়াইটার দিকে নৌবাহিনীর জাহাজ ‘বানৌজা টুনা’ ও ‘বানৌজা পেঙ্গুইন’ যোগে রোহিঙ্গাদের নতুন দল আগমন করে।
ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (উপসচিব) মোয়াজ্জেম হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ৭০৫ রোহিঙ্গাকে জাহাজ থেকে নামানোর পর নৌবাহিনীর পন্টুন সংলগ্ন হ্যালিপ্যাডে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে সেখান থেকে তাদেরকে গাড়ির মাধ্যমে নির্ধারিত ক্লাস্টারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, এছাড়াও ৫১ জন কক্সবাজার থেকে বেড়াতে এসেছেন ও ৪১ জন ভাসানচর থেকে কক্সবাজার বেড়াতে গিয়েছিলেন। তারাও একই জাহাজে ফিরেছেন।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীর ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় ২০২০ সালের ৪ ডিসেম্বর প্রথম দফায় ১ হাজার ৬৪২ জন, ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় ১ হাজার ৮০৪ জন, ২০২১ সালের ২৯ ও ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফায় ৩ হাজার ২৪২ জন, ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ দফায় ৩ হাজার ১৮ জন, পঞ্চম দফায় ৩ ও ৪ মার্চ ৪ হাজার ২১ জন, ষষ্ঠ দফায় ১ ও ২ এপ্রিল ৪ হাজার ৩৭২ জন, সপ্তম দফায় ২৫ নভেম্বর ৩৭৯ জন এবং অষ্টম দফায় ৫৫২ রোহিঙ্গাকে ভাসানচর স্থানান্তর করা হয়।
এছাড়া গত বছরের মে মাসে সাগর পথে অবৈধভাবে মালয়াশিয়া যাওয়ার চেষ্টা করা ৩০৬ রোহিঙ্গাকে সমুদ্র থেকে উদ্ধার করে ভাসানচরে নিয়ে রাখা হয়।
বিএসডি/ এলএল