দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় (রোববার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত) করোনাভাইরাসে আরও ৭৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এ সময় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৬ জনের। রোগী শনাক্তের এই সংখ্যা গত দুই মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এর চেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল গত ১৪ এপ্রিল, ৫ হাজার ১৮৫ জনের।
আজ সোমবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল ৩ হাজার ৬৪১ জনের। ওই সময় করোনায় মৃত্যু হয়েছিল ৮২ জনের।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা সংক্রমিত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে মোট ৮ লাখ ৫৬ হাজার ৩০৪ জন। মোট মৃত্যু হয়েছে ১৩ হাজার ৬২৬ জনের। সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৪৮২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৮২৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি ২৩ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা বিভাগে। এরপর রাজশাহী বিভাগে ১৫ জন, খুলনা বিভাগে ১৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া রংপুর বিভাগে ৯ জন, বরিশালে ৩ জন, সিলেটে ২ জন এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জনের মৃত্যু হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২৪ হাজার ৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ২৭ শতাংশ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বোঝার একটি নির্দেশক হলো রোগী শনাক্তের হার। কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ১ হাজার ৮৩৭ জন। তাদের মধ্যে মহানগরসহ ঢাকা জেলায় শনাক্ত হয়েছে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ২৯৪ জন। তারপর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে টাঙ্গাইলে ১৬৫ জন ও ফরিদপুরে ১১৬ জন। এ ছাড়া রাজবাড়ীতে ৬৫, গোপালগঞ্জে ৪৫, গাজীপুরে ৪৩, কিশোরগঞ্জে ৪১ ও নারায়ণগঞ্জে ২৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ঢাকার পর বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে খুলনা বিভাগে ৯৪৫ জন। এ ছাড়া রাজশাহী বিভাগে ৭৯৯, চট্টগ্রাম বিভাগে ৪৬১, রংপুর বিভাগে ২৫৭, ময়মনসিংহে ১৪৩, বরিশালে ১১৭ ও সিলেট বিভাগে ৭৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের উহানে প্রথম নতুন করোনাভাইরাস সংক্রমণ দেখা দেয়। পরে তা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হয় গত বছরের ৮ মার্চ। তারপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে সংক্রমণ। গত বছরের শেষ দিকে এসে সংক্রমণ কমতে থাকে।