বর্তমান সময় ডেস্কঃ
ফিলিস্তিনের চলমান সংকট নিরসনে আরব বিশ্বের নেতাদের ভূমিকা নিয়ে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত হতাশা ব্যক্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর দপ্তরে মন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ এস ওয়াই রামাদান। তার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে তথ্যমন্ত্রী এ তথ্য জানান৷
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, চার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও যেভাবে প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়িয়েছেন, সেজন্য ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত প্রশংসা করেছেন৷ বাংলাদেশ থেকে ফিলিস্তিনের জন্য যে সাহায্য-সহযোগিতা পাঠানো হয়েছে, সে বিষয়েও তিনি আমাকে বিস্তারিত বলেছেন৷ বাংলাদেশে যারা পড়াশোনা করে ফিলিস্তিনে গিয়ে কীভাবে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছেন সেগুলোর ভিডিও তিনি আমাকে দেখিয়েছেন।
তিনি বলেন, ফিলিস্তিনের গাজায় নিরীহ নারী ও শিশুদের প্রতি যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চলছে, একবিংশ শতাব্দীতে এসে সেটি বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে৷ গাজায় এমন মানবিক বিপর্যয়েও যারা ইসরায়েলের পক্ষ নিচ্ছে, তারা মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার সক্ষমতা হারিয়েছে৷
তিনি আরও বলেন, আমি আশা করব যে, ফিলিস্তিনিদের এই আর্তনাদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপসহ সব জায়গায় পৌঁছাবে। সেই সঙ্গে অবিলম্বে পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও ফিলিস্তিনে শান্তি প্রতিষ্ঠা হবে। আমাদের সরকার ও প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের পক্ষে ছিলেন, আছেন এবং থাকবেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, প্যালেস্টাইনের রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আমার সৌজন্য সাক্ষাৎ হয়েছে৷ তিনি ফিলিস্তিনের প্রতি আমাদের আকুণ্ঠ সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। আমি তাকে জানিয়েছি যে, প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘের সাধারণ অ্যাসেম্বলিতে ফিলিস্তিনের পক্ষে কথা বলেছেন। বাংলাদেশের পার্লামেন্টের সংসদ নেতা হিসেবে ফিলিস্তিনের পক্ষে বিশেষ আলোচনার আয়োজন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। একইসঙ্গে গাজায় যে হত্যাযজ্ঞ চলছে তার প্রতিবাদ করেছেন। ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের প্রতি আমাদের সমর্থন এবং ইসরায়েলিদের হত্যাযজ্ঞের বিপক্ষে বাংলাদেশের সরকারের অবস্থান আমি তাকে পুনরায় বলেছি৷
মন্ত্রী বলেন, আমরা মনে করি স্বাধীন ও সার্বভৌম ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মধ্যে দিয়ে এ সমস্যা সমাধান হবে৷ আমরা ‘টু স্টেট’ পলিসিকে সমর্থন করি৷ ফিলিস্তিনে আলাদা রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া এ সমস্যার সমাধান নেই।
বিএসডি/আরপি