বিএসডি অনলাইন
এই মুহূর্তে মার্টিনেজের নাম জানে না, এমন কোন ব্যক্তি পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না। কিন্তু একটা বছর আগের কথাই ধরুন কে চিনতো তাকে। খোদ আর্জেন্টিনার কোচের খাতাতেও যে ছিলেন না তিনি এক নম্বর। কোপাতেও এসেছিলেন দলের দ্বিতীয় গোলক্ষকের তকমা নিয়ে।করোনা যখন সারা দুনিয়ার জন্য অভিশাপ, তখন আর্জেন্টিনার জন্য যে রীতিমতো আশীর্বাদ। স্ক্যালণির দলের মূল গোলরক্ষক আরমানির করোনা ধরা পড়ার পর, গত মাসে দলে ডাক পান মার্টিনেজ। এরপর থেকেই তার পারফরম্যান্সে মুগ্ধ আলবেসিলেস্তা শিবির। আর এখন তো তিনি জাতীয় নায়ক। মেসিকে ছাপিয়ে সংবাদ মাধ্যমের শিরোনাম।
কিন্তু, শুরুর পথ চলাটা এরকম মসৃণ ছিল না তার জন্য। ১৭ বছর বয়সে ২০১২ তে যোগ দেন আর্সেনালে। কিন্তু টিনএজ এই ছোকড়াকে নিয়ে কোন আশার আলো দেখেনি গানার কর্তারা। তাই তো দলের সঙ্গে না রেখে ধারে পাঠিয়ে দেন এক এক সময় এক ক্লাবে। ধারে ধারে খেলেছেন ইপিএল এবং লা লিগার বিভিন্ন ক্লাবে। যা শাপে বর হয় তার জন্য। নানা জায়গার জল খেয়ে, গড়ে তুলেন নিজেকে। একটু একটু করে তৈরি করেন আন্তর্জাতিক অ্যারেনার জন্য। ২০২০ সালে অবশেষে টনক নড়ে আর্সেনালের। তারা বুঝতে পারেন অপাত্রে বড় হচ্ছে তাদের সোনার হরিণ। নিয়ে আসা হয় ক্লাবে, খেলেন মূল দলে। একের পর এক ক্লিন শিট উপহার দেন দলকে। কিন্তু মৌসুম শেষে, আশচর্যজনকভাবে তাকে বিক্রি করে দিলো গানাররা। দু হাত বাড়িয়ে তাকে আলিঙ্গন করল অ্যাস্টন ভিলা। শুরু হয় মার্টিনেজের সত্যিকারের পথচলা। পুরো মৌসুমে তার পারফরম্যান্সের দ্যুতি অবাক করেছে ফুটবল বোদ্ধাদের। ফ্যান্তাসি লিগের সবচেয়ে বেশি পয়েন্ট কামানো গোলরক্ষক এখন এমিলিয়ানো মার্টিনেজ। শুধু কী তাই, ক্লিন শিট আর সেইভে ইপিএল সেরাদের কাতারে নাম লিখিয়েছেন এ আর্জেন্টাইন। তবে, আজ তিনি ছাড়িয়ে গেছেন সব কিছুকে। নিজেকে ভেঙে চুড়ে সাজিয়েছেন নতুন করে। পুরো বিশ্ব অবাক হয়ে দেখেছে একজন এমিলিয়ানোকে। লিওনেল মেসির পেছনে থেকেও, তিনি এখন মঞ্চের মূল চরিত্র। টাইব্রেক বা পেনাল্টি শ্যুটআউট সবসময়ই মাইন্ডের খেলা। এখানে নিজের কারিকুরি কিংবা স্কিলের চেয়েও আপনি মানসিকভাবে কতটা শক্তিশালী তারই পরীক্ষা নেন প্রতিপক্ষের শ্যুটাররা। কিন্তু, আজ এমিলিয়ানো প্রমাণ করলেন, সেখানেও তিনি মাস্টারমাইন্ড।
বিএসডি মুছা