খেলাধূলা প্রতিনিধি:
৩৭ বছর বয়সী এই ডিফেন্ডার ডিএজেডএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, জাতীয় দলের হয়ে শিগগিরই থামতে চলেছেন, ‘ওয়েম্বলিতেই আমি জাতীয় দলকে বিদায় জানাব, যেখানে আমি ইউরো জিতে আমার ক্যারিয়ারের চূড়ায় উঠেছিলাম। আমি একটা সুন্দর স্মৃতি নিয়ে জাতীয় দল থেকে বিদায় নিতে চাই। ওই ম্যাচ নিশ্চিতভাবেই জাতীয় দলের হয়ে আমার শেষ ম্যাচ হতে চলেছে।’
১৮ বছরে ১১৬ ম্যাচ খেলা এই ডিফেন্ডার এখনো কোচ রবার্তো মানচিনির অন্যতম অস্ত্র। আলেসসান্দ্রো বাস্তোনি, জিয়ানলুকা মানচিনি, আলেসসিও রোমানিওলি, ফ্রান্সেসকো আসেরবির মতো একাধিক ডিফেন্ডার গত কয়েক বছরে উঠে এলেও জাতীয় দলের রক্ষণের মূল ভরসা হিসেবে এখনো সেই কিয়েল্লিনি আর বোনুচ্চিকেই মানেন মানচিনি।
ইতালি যদি কাতার বিশ্বকাপে জায়গা করে নিতে পারত, নিশ্চিতভাবে সেই স্কোয়াডের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হতেন মানচিনি। বাছাইপর্বের প্লে-অফে উত্তর মেসিডোনিয়ার কাছে হেরে যে স্বপ্নসমাধি ঘটেছে, টানা দুই বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে চলেছে ইতালিকে ছাড়াই, যারা গত বছর ওয়েম্বলিতে ইউরো জিতেছিল।
জিয়ানলুইজি বুফন, দানিয়েলে দি রসি, ফাবিও কানাভারোর পর আন্দ্রেয়া পিরলোর পাশাপাশি কিয়েল্লিনিই ইতালির হয়ে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেছেন। ২০০৪ সালে মাত্র ২০ বছর বয়সে মার্সেলো লিপ্পির অধীন অভিষেক হওয়া কিয়েল্লিনি ২০১২ ইউরোর রানার্সআপ দলেরও মূল অংশ ছিলেন।
তবে জাতীয় দলের হয়ে অবসর নিলেও ক্লাব ক্যারিয়ারে এখনই যতি টানছেন না, ‘জুভেন্টাসের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক শেষ হচ্ছে না, এ শেষ হওয়ার নয়। অবশ্যই, মৌসুমের শেষ পর্যন্ত আমাকে সবকিছু বিবেচনা করতে হবে। আমার পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানতে হবে কোনটা ভালো।’
মৌসুম শেষে জুভেন্টাসের সঙ্গে চুক্তি শেষ হচ্ছে কিয়েল্লিনির। বাজারে জোর গুঞ্জন, জুভেন্টাস-অধ্যায় শেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের এমএলএসে পাড়ি জমাবেন এই ডিফেন্ডার।
কিন্তু এখনই এসব নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি কিয়েল্লিনি, ‘আগে চতুর্থ অবস্থানে থেকে লিগ শেষ করি, কোপা ইতালিয়া জিতি। এরপর আমার দুই পরিবারের (নিজের পরিবার ও জুভেন্টাস) সঙ্গে আলোচনা কর যে আমার জন্য কোনটা ভালো। গত বছরও এমন হয়েছিল। ইউরো শেষ না হওয়া পর্যন্ত জুভেন্টাসের হয়ে চুক্তি সই করিনি। এ বয়সে দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করা যায় না আসলে। এটাই স্বাভাবিক।’
বিএসডি/ এমআর