নিজস্ব প্রতিবেদক
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, বিপ্লবী সরকারের উপদেষ্টা তো হবেন বিপ্লবী। তাদের চেতনা থাকবে অত্যন্ত গতিশীল। এখনও যদি আলুর কেজি ৭০ থেকে ৭৫ টাকা থাকে, তাহলে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি মানুষের যে বিশ্বাস তা কমতে থাকবে।
তিনি বলেন, ডিম-তেল এগুলোর দাম এখনো কয়েকটি কোম্পানি নিয়ন্ত্রণ করছে। সে কোম্পানিগুলোকে আপনারা ধরছেন না কেন? ডিম-সয়াবিন তেলের দাম এখনও আকাশচুম্বী থাকবে কেন? নিম্ন আয়ের মানুষ আগে যেমন ছিল এখনো তাই আছে, কেন এই পরিস্থিতি হবে? তাদের অকাতরে জীবন দেওয়া এটাতো সম্পূর্ণরূপে ব্যর্থ হবে। আর সুখে থাকা উপদেষ্টারা এসে বড় বড় কথা বলবেন, যা ইচ্ছা তাই করবেন এটা তো চলতে দেওয়া যায় না।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) নয়াপল্টনে গণঅভ্যুত্থানের সময় রিকশা চালকদের হত্যার প্রতিবাদে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধারণ রিকশাচালকদের ব্যানারে এ সমাবেশে আয়োজিত হয়।
বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এই নেতা বলেন, গণবিচ্ছিন্ন মানুষ কোনো দিনই জনগণের উপকারে কাজে লাগে না। এসব মানুষ কখনোই কল্যাণকামী এবং বিপ্লবী কাজ করতে পারে না।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, আন্দোলনে ক্ষতিগ্রস্তদের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে। পঙ্গু হাসপাতালে এখনো অনেকেই কাতরাচ্ছেন, কারও পিঠের চামড়া খুলে গেছে কারও পা নেই, কেউ কেউ অন্ধ হয়ে গেছেন। তাদের দায়িত্ব কি রাষ্ট্র নেবে না? তাদের দায়িত্ব রাষ্ট্রকেই নিতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক অফিসার্স ওয়েলফেয়ার কাউন্সিলের নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, আমি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উদ্দেশ্যে বলতে চাই ব্যাংক-বীমায় নির্বাচন করেন শ্রমিকরা, শ্রমিক কর্মচারীরা। গতকাল গণমাধ্যমে একটি সংবাদ দেখলাম অফিসার কল্যাণ সমিতি নামে একটি কল্যাণ সমিতি নির্বাচন করেছে। সেখানে আওয়ামী লীগের সমর্থিত লোকেরা বিজয়ী হয়েছে। এটা কি করে সম্ভব? বিগত ১৫ বছরে হয়তো ছাত্রলীগ-যুবলীগ দেখে দেখে অফিসার নিয়োগ করা হয়েছে। আমিও ব্যাংকের চেয়ারম্যান ছিলাম, কখনও ব্যাংকের অফিসারদের এমন সংগঠন দেখি নাই। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনার ওখানে কি হচ্ছে? কারা এখানে এই নির্বাচন করছে? আবার তারা ফলাও করে বলছে তারা নাকি আওয়ামী লীগ সমর্থিত দল জিতেছে। ঘাপটি মেরে ব্যাংকের টাকাগুলো পাচারের ক্ষেত্রে এই লোকগুলোই জড়িত আছে। ১৫-১৬ বছর ধরে এদেরকে এপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়েছে। তারা এখন ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে, তাদেরকে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিচ্ছেন না কেন?
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।