নিজস্ব প্রতিবেদক:
আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলার তদন্ত কার্যক্রম চলবে।
আদালতে শহিদুল আলমের পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম হাসান আরিফ ও সারা হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়।
মামলাটির তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়ে হাইকোর্ট যে রুল দিয়েছিলেন সেটি খারিজ করে রায় দেন হাইকোর্ট। এ রায়ের ফলে শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে এ মামলার তদন্ত চলতে কোনো বাধা নেই।
নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে ২০১৮ সালের ৩ ও ৪ আগস্ট রাজধানীর জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে ফেসবুকে লাইভে করেন শহিদুল। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের কড়া সমালোচনাও করেন।
এরপর ৫ অগাস্ট শহিদুল আলমকে তার বাসা থেকে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ‘উসকানিমূলক মিথ্যা’ প্রচারের অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে তার নামে মামলা হয়।
প্রায় সাড়ে তিন মাস কারাগারে থাকার পর ২০১৮ সালের ২০ নভেম্বর জামিনে মুক্তি পান শহিদুল।
বিএসডি/জেজে