ডেস্ক রিপোর্ট-
ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে আসাম-মিজোরাম সীমান্তে সপ্তাহব্যাপী চলা সংঘর্ষে গত সোমবার ছয় পুলিশ সদস্যসহ সাত জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ৭০ জন।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা রয়টার্সকে বলেন, ‘ আসাম-মিজোরাম সীমান্তে আমরা মিজোরামের দুর্বৃত্তরা গুলি ছুঁড়লে আমাদের ছয় পুলিশ সদস্য ও একজন সাধারণ নাগরিককে আমরা হারিয়েছি।’
ভারতের এক জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদের বয়ানে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, সীমান্তে দখলদারিত্ব নিয়ে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দুই রাজ্যে চলমান সংঘর্ষ এখন মারাত্মক আকার ধারণ করেছে।
গত জুনে আসাম পুলিশ পাহাড়ি এলাকা লায়লাপুর নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিলে আসাম ও মিজোরামে সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়। আসামের অভিযোগ, মিজোরাম এ অঞ্চলে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে।
আসাম ও মিজোরামের এই সহিংসতা ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের দীর্ঘস্থায়ী আন্তঃরাষ্ট্রীয় সীমানা সংক্রান্ত সমস্যাগুলোকেই প্রকট করে তুলেছে বলে মনে করছেন নীতিনির্ধারকরা।
মিজোরামের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লালচামলিয়ানা এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত সোমবার আসাম পুলিশ মিজোরামের সীমানায় ঢুকে পড়ার এই সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। উভয়পক্ষে হতাহতের ঘটনাকে তিনি ‘দুঃখজনক’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, সীমান্তে সংঘর্ষের জন্য আসাম ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীরা একে অপরকে দোষারোপ করছেন। তারা এ ঘটনায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ভারতের সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকের দুই দিন পরই এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটল। ভারতের গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, আসাম ও মিজোরামের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন অমিত শাহ। সীমান্ত ইস্যু দ্রুত সমাধানের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
আসামে এখন নরেন্দ্র মোদীর জনতা পার্টি ক্ষমতাসীন। অন্যদিকে মিজো ন্যাশনাল ফ্রন্ট (এমএনএফ) মিজোরামের ক্ষমতায় রয়েছে, যারা বিজেপি নেতৃত্বাধীন উত্তর-পূর্ব গণতান্ত্রিক জোটের (এনইডিএ) শরিক।
বিএসডি/আইপি