টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের জয়রথ ছুটছেই। আগের দুই ম্যাচে গ্রুপের শক্তিশালী দুই প্রতিপক্ষ ভারত ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পেয়েছিল তারা। এবার পেয়েছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। অবশ্য বেশ কষ্টই করতে হয়েছে। শেষ অবধি আসিফ আলির বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে তারা জয় পায় ৫ উইকেটে।
ম্যাচটা অবশ্য জমে ওঠেছিল। বিশেষ করে পাকিস্তানের ইনিংসের শেষ দিকে। মনে হচ্ছিল আফগানিস্তান বোধ হয় চমক দেখিয়ে দেবে পাকিস্তানকে হারিয়ে। ১৮তম ওভারে দুর্দান্ত বল করেন নাভিন উল হক। ২ রান খরচায় এক উইকেট নেন তিনি। শেষ ওভারটাও করার কথা ছিল তার। কিন্তু আসিফ আলি ওই ওভার পর্যন্ত ম্যাচ নিলে তো!
শেষ দুই ওভারে তাদের দরকার ছিল ২৪ রান। কারিম জিনাতের করা ১৯তম ওভারে চার ছক্কা হাঁকিয়ে খেলা ওই ওভারেই শেষ করে দেন আসিফ। মাত্র ৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরার পুরস্কারটাও নিজের করে নেন তিনি। ৬ বল আগে জয় পায় তার দল।
দুবাইয়ে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আফগানিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। ১৩ রান তুলতেই ফিরে যান দলটির দুই ওপেনার। এরপর বেশ কয়েকটি উইকেটও দ্রুত হারায় তারা। তবে শেষদিকে ব্যাট হাতে আফগানদের কান্ডারি হন অধিনায়ক নবী ও গুলবাদিন নাইব।
৩২ বলে ৩৫ রান করে নবী ও ২৫ বলে ৩৫ রান করে নাইব অপরাজিত থাকেন। নির্ধারিত ২০ ওভার ব্যাট করে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৪৮ রান তুলে তারা। পাকিস্তানের পক্ষে ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন ইমাদ ওয়াসিম।
আফগানদের জবাব দিতে নেমে শুরুতে বেশ বিপাকে পড়ে পাকিস্তানও। ১০ বলে ৮ রান করে আউট হন মোহাম্মদ রিজওয়ান। তবে ফিফটি তুলে নেন বাবর আজম। ৪৭ বলে ৫১ রান করে রশিদ খানের বলে বোল্ড হন তিনি। ২৫ বলে ৩০ রান আসে ফখর জামানের ব্যাট থেকে।
এরপর অবশ্য দ্রুতই মোহাম্মদ হাফিজ ও এরপর শোয়েব মালিক ফিরলে শঙ্কা জাগে তাদের হেরে যাওয়ার। কিন্তু কারিম জিনাতের এক ওভারে ৪ ছক্কা হাঁকিয়ে সেসব ধুলোয় উড়িয়ে দেন আসিফ আলি। টানা তিন জয়ে সেমিফাইনাল অনেকটাই নিশ্চিত পাকিস্তানের।
বিএসডি/এসএসএ