নিজস্ব প্রতিবেদক:
অ্যাসোসিয়েশন অব সাউথইস্ট এশিয়ান ন্যাশনসের (আসিয়ান) সেক্টরাল ডায়ালগ পার্টনার হতে জোটটির গুরত্বপূর্ণ সদস্য ভিয়েতনামের সমর্থন চেয়েছে বাংলাদেশ। একইসঙ্গে বাণিজ্য ব্যবধান কমাতে দেশটিকে আমদানি আরও বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে ঢাকা।
বুধবার (১২ জানুয়ারি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন টেলিফোনে ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বুই খান সনের সঙ্গে ইংরেজি নতুন বছরের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় মোমেন এ সমর্থন চান।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ড. মোমেন বাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দ্রুত, নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে সহায়তা করে রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানে ভিয়েতনাম এবং আসিয়ানকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান। মোমেন ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান, রোহিঙ্গাদের কারণে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতির ওপর প্রভাব ফেলছে। রোহিঙ্গাদের উগ্রবাদ, চরমপন্থার প্রতি ক্রমবর্ধমান সংবেদনশীলতার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোমেন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু আন্তঃসীমান্ত অপরাধ, মানবপাচার, মাদক চোরাচালানসহ বিভিন্ন ইস্যুতে এ অঞ্চলের নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলছে। তিনি ভিয়েতনামকে অনুরোধ করেন, মিয়ানমারের ওপর দেশটি বন্ধুত্বপূর্ণ প্রভাব প্রয়োগ করে, যাতে রোহিঙ্গাদের দ্রুত ফিরিয়ে নিয়ে যায়।
ভিয়েতনামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা সংকটের দ্রুত সমাধানে আসিয়ান কাঠামোর মধ্যে দেশটির আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাবে বলে আশ্বাস দেন।
দুই দেশের মধ্যে চমৎকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে সন্তোষ প্রকাশ করে ড. মোমেন আশা প্রকাশ করেন যে, দুই দেশ আগামী বছর কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার ৫০ বছর উদযাপন করবে।
মোমেন দুই দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগকে আরও জোরদার করতে প্রযুক্তিগত দক্ষতার নিয়মিত বিনিময়ের পরামর্শ দেন। পাশাপাশি যৌথ বাণিজ্য কমিশন এবং অন্যান্য বাণিজ্য ব্যবস্থা সক্রিয় করারও পরামর্শ দেন।
পারস্পরিক সহযোগিতা ও সম্পৃক্ততার অনেক সুযোগে রয়েছে জানিয়ে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী আগামী দিনে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও দৃঢ় ও শক্তিশালী করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। তাছাড়া বিভিন্ন নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পারস্পরিক সমর্থন সম্প্রসারণের মাধ্যমে আঞ্চলিক ও বহুপাক্ষিক ফোরামে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করতে সম্মত হন মোমেন-সন।
দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে অপরকে ঢাকা ও হ্যানয় সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বিএসডি /আইপি