নিজস্ব প্রতিবেদক:
চলতি করবর্ষের ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ব্যক্তি শ্রেণীর আয়কর বিবরণী বা রিটার্ন জমা পড়েছে ১৮ লাখ ৫৫ হাজার। আর রিটার্নের সঙ্গে আয়কর জমা পড়েছে ২ হাজার ৪৫৬ কোটি টাকার। এ সময়ে ৬০ হাজারের বেশি ই-রিটার্ন জমা পড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
আয়কর অধ্যাদেশ অনুযায়ী, প্রতি বছরের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে আয়কর রিটার্ন জমা দেয়া বাধ্যতামূলক। যদিও এ বছর নভেল করোনাভাইরাস পরিস্থিতি বিবেচনায় রিটার্ন জমা দেয়ার সময় ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে এনবিআর।
এনবিআর সূত্র জানায়, গত বছরের তুলনায় এবার আয়কর রিটার্ন দাখিল বেড়েছে। ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ১৮ লাখ ৫৫ হাজার করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। যেখানে গত করবর্ষের একই সময়ে রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা ছিল ১৭ লাখ ৪৮ হাজার।
এদিকে চলতি করবর্ষে প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে ই-রিটার্ন সেবা চালু করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এ সেবার আওতায় ঘরে বসেই রিটার্ন জমা দেয়ার সুযোগ পাচ্ছে ব্যক্তিশ্রেণীর করদাতারা।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চলতি কর বছরে এখন পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি ই-রিটার্ন জমা পড়েছে। রিটার্ন দাখিলের সময়সীমা একমাস বর্ধিত হওয়ায় এ সংখ্যা আরো বাড়ার সম্ভাবনা দেখছে সংস্থাটি।
গত ১০ অক্টোবর চলতি কর বছরের রিটার্ন দাখিলের জন্য প্রথমবারের মতো কেন্দ্রীয়ভাবে ই-রিটার্ন পদ্ধতির সেবা চালু করে এনবিআর। এরপর ৯৫ হাজারের বেশি আগ্রহী ই-রিটার্ন পদ্ধতিতে আয়কর বিবরণী জমা দিতে অনলাইনে নিবন্ধন করেন। এর মধ্যে গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত ৬০ হাজারের বেশি নিবন্ধনকারী ই-রিটার্ন জমা দিয়েছেন। ২০১৬ সালে সর্বপ্রথম অনলাইন পদ্ধতিতে রিটার্ন জমা দেয়ার ব্যবস্থা চালু করে এনবিআর। যদিও ওই সময় অনলাইনে রিটার্ন জমাদান পদ্ধতিতে তেমন সাড়া মেলেনি। রিটার্ন দাখিলকারীদের অনলাইন পদ্ধতিতে আগ্রহী করতে গত অর্থবছরের বাজেটে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিলে ২ হাজার টাকা করছাড়ের ঘোষণা দেয়া হয়। যদিও ওই বছর কারিগরি সমস্যার কারণে অনলাইনে রিটার্ন জমা দিতে পারেননি করদাতারা। তবে আগের তুলনায় এবার ই-রিটার্নে অনেক বেশি সাড়া পেয়েছে সংস্থাটি।