নিজস্ব প্রতিবেদক
নির্বাচন কমিশনে (ইসি) ২০২০ সালের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। গত বছর দলটির আয় কমেছে ৫১ শতাংশ এবং ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। এ নিয়ে টানা তিন বছর দলটির ব্যয় কমলো।
রোববার (২৯ আগস্ট) দুপুরে আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে জমা দেওয়া বার্ষিক আয়-ব্যয় ও লেনদেন প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের কাছে আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেন দলটির প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান।
হিসাব জমা দেওয়ার পর আবদুস সোবহান গোলাপ সাংবাদিকদের জানান, ২০২০-এ আওয়ামী লীগের আয় হয়েছে ১০ কোটি ৩৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৩৩ টাকা। যা ২০১৯-এর আয়ের চেয়ে ১০ কোটি ৬৮ লাখ ৯৭ হাজার ৭৯৭টা কম। ২০১৯-এর চেয়ে আয় কমেছে ৫১ শতাংশ। ২০১৯ সালে দলটি আয় করেছিলো ২১ কোটি দুই লাখ ৪১ হাজার ৩৩০ টাকা।
আয় কম হওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন, ২০২০-এ মনোনয়নপত্র বিক্রি বাবদ অর্থ আগের বছরের তুলনায় কম হয়েছে। আয়ের প্রধান খাতগুলোর মধ্যে রয়েছে- বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্যদের চাঁদা, মনোনয়নপত্র বিক্রি ও বিভিন্ন ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের দেওয়া অনুদান।
তিনি জানান, ২০২০-এ আওয়ামী লীগের ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজার ৯৩১ টাকা, যা ২০১৯-এর ব্যয়ের চেয়ে ১ কোটি ৭৩ লাখ ৪৮ হাজার ৩৫৬ টাকা বেশি। ২০১৯ সালের চেয়ে ব্যয় বেড়েছে ২১ শতাংশ। ২০১৯ সালে দলটির ব্যয় হয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ১ হাজার ৫৭৫ টাকা।
ব্যয় সম্পর্কে তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা, বিভিন্ন পর্যায়ে দলীয় প্রার্থীদের অনুদান, পত্রিকা-প্রকাশনা ও সংশ্লিষ্ট খরচ বাবদ ব্যয় বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে দলটির ব্যয় বেড়েছে। ব্যয়ের প্রধান খাতের মধ্যে রয়েছে- অফিস রক্ষণাবেক্ষণ ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা, সংগঠন পরিচালনা ব্যয় ও ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনা ব্যয়। বর্তমানে দলটির তহবিলে ৫০ কোটি ৭৩ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৪ টাকা জমা রয়েছে বলেও জানান তিনি।
জানা যায়, একাদশ সংসদ নির্বাচনের বছর ২০১৮-এ আওয়ামী লীগের আয় হয়েছিল ২৪ কোটি ২৩ লাখ ৪২ হাজার ৭০৭ টাকা। আর ব্যয় হয়েছিল ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ৫৫৭ টাকা।
বিএসডি/এমএম