আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করে রাশিয়া। রুশ এই সামরিক অভিযান নিয়ে আগেই থেকে সতর্কতা জানিয়েছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
নিরাপত্তার খাতিরে ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর সামরিক অভিযান শুরুর আগেই দেশটি থেকে সব কূটনীতিককে প্রত্যাহার নিয়েছিল আমেরিকা। বর্তমানে পোল্যান্ডে একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে চলছে দূতাবাসের কার্যক্রম।
যুদ্ধের দুই মাস পর ২৪ এপ্রিল ইউক্রেন সফর করেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। সফরে তারা ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে গিয়ে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠক করেন।
এ সময় তারা ধারাবাহিকভাবে ইউক্রেনে মার্কিন দূতাবাসগুলো খোলার ব্যাপারে সম্মত হন।
সফরে ইউক্রেনে নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূতের নামও ঘোষণা করেন তারা। তিনি হলেন প্রবীণ কূটনীতিক ব্রিজেট ব্রিংক। বর্তমানে তিনি স্লোভাকিয়ায় নিযুক্ত রয়েছেন।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম ‘বিবিসির’ এক প্রতিবেদনে এমনটিই দাবি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের অধীনে ২০২০ সালের শুরু থেকেই ইউক্রেনের এই পদটি শূন্য ছিল। মার্কিন গণমাধ্যম জানিয়েছে, দেশটির প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সোমবারই ব্রিজেট ব্রিংককে চূড়ান্তভাবে মনোনীত করবেন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আরও বলেছে, তারা রাজধানী কিয়েভের নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করছে এবং প্রায় ইউক্রেনের পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নতুন করে দূতাবাস পুনরায় চালু করার বিষয় ভাবছে।
যুদ্ধ শুরুর আগেই ইউক্রেনের মার্কিন দূতাবাস প্রতিবেশী পোল্যান্ডে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বর্তমানে একটি অস্থায়ী কার্যালয়ে চলছে দূতাবাসের কার্যক্রম। মার্কিন গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, আগামী দিনে দূতাবাসের কর্মীরা পশ্চিম ইউক্রেনীয় শহর লাভিভে তাদের তাদের কার্যক্রম শুরু করবেন।
বিএসডি/ এমআর