আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর জানিয়েছে, ইউক্রেনে রাশিয়া সেনা অভিযান পরিচালনার পরে এ পর্যন্ত ৩৩ লাখেরও বেশি শরণার্থী দেশ ছেড়েছে। এছাড়াও প্রায় ৬৫ লাখ মানুষ দেশের অভ্যন্তরে বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া দেশটিতে সেনা অভিযানের পর থেকে ৩৩ লাখ ২৮ হাজার ৬৯২ বাসিন্দা ইউক্রেন থেকে পালিয়ে গেছে। আর শুক্রবারের আপডেট হচ্ছে আরও ৫৮ হাজার ৩০ জন বাসিন্দা তাদের সাথে যোগ দিয়েছেন।
ক্রমাগত বোমার বিস্ফোরণ, বিমান হামলা ও নির্বিচারে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচতে তারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন ইউএনএইচসিআর-এর প্রধান ফিলিপ্পো গ্র্যান্ডি। তিনি বলেন, ‘সাহায্য দরকার, কিন্তু সেটা ভয় থামাতে পারে না। শুধুমাত্র যুদ্ধ বন্ধ করলে সেটি থামতে পারে।’
ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া শরণার্থীদের মধ্যে প্রায় ৯০ শতাংশ নারী ও শিশু। আর যাদের বয়স ১৮ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে তারা দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না। কারণ তাদের সামরিক বাহিনীতে যোগদানের জন্য ডাকা হচ্ছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) আরও বলেছে, গত বুধবার পর্যন্ত আরও এক লাখ ৬২ হাজার মানুষ ইউক্রেন ছেড়েছে, যারা তৃতীয় অন্য কোনো দেশের নাগরিক। এছাড়াও আরও লক্ষাধিক বাসিন্দা রয়েছে, যারা নিজেদের ঘর-বাড়ি ছেড়েছে। তবে তারা ইউক্রেনের সীমান্তের মধ্যে রয়েছে। সংঘাতের আগে ইউক্রেনের সরকার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চলগুলোতে তিন কোটি ৭০ লাখ বাসিন্দা বসবাস করতেন।
রাশিয়ার সেনা অভিযানের পরে ইউক্রেনীয়রা যেসব দেশে আশ্রয় নিয়েছেন:
পোল্যান্ড : প্রতি দশ জন শরণার্থীর মধ্যে ছয় জন শরণার্থী পোল্যান্ডে আশ্রয় নিয়েছে। এই সংখ্যা আনুমানিক ২০ লাখ ১০ হাজার ৬৯৩ জন বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
রোমানিয়া: ৫ লাখ ১৮ হাজার ২৬৯ জন ইউক্রেনীয় শরণার্থী রোমানিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন। এছাড়াও কমপক্ষে ৫০ লাখ ইউক্রেনীয় শরণার্থী রোমানিয়ার পথে রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইউএনএইচসিআর।
রাশিয়া: এক লাখ ৮৪ হাজার ৫৬৩ জন ইউক্রেনীয় শরণার্থী রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। ইউএনএইচসিআর আরও জানিয়েছে, ২১ থেকে ২৩ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আরও ৫০ হাজার বাসিন্দা যারা দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছে। এছাড়াও মলদোভা, হাঙ্গেরি, স্লোভাকিয়া ও বেলারুশে ইউক্রেনীয় শরণার্থীরা আশ্রয় নিয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা, রয়টার্স।