নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইউক্রেন সীমান্ত পার হয়ে মলদোভায় পৌঁছে রোমানিয়ার পথে আছেন ২৮ বাংলাদেশি নাবিক। বাংলাদেশ সময় রাত ২টায় তারা ইউক্রেন সীমান্ত পার হয়ে মলদোভা ইমিগ্রেশন পৌঁছান। ইমিগ্রেশন শেষ করতে তাদের ভোর পর্যন্ত লেগে যায়। এরপর সড়কপথেই তারা রোমানিয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন বলে নিশ্চিত হওয়া গেছে।
আজ রবিবার (৬ মার্চ) বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন সভাপতি ক্যাপ্টেন আনাম চৌধুরী বলেন, আমি রাতে ও সকাল ১০টায় দুবার নাবিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। ইতোমধ্যে নাবিকরা রোমানিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করেছেন। যেহেতু ইউক্রেন সীমান্ত পার হয়েছেন এখন তাদের আর কোনো ঝুঁকি নেই।
তিনি বলেন, নাবিকরা মলদোভা পৌঁছলে সেখানে হাজার হাজার মানুষের ইমিগ্রেশন পার হতে অনেক সময় লেগে যায়। ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়া মানুষের দীর্ঘ লাইন সেই ইমিগ্রেশনে ছিল। শেষ পর্যন্ত তারা নিরাপদে পার হয়েছেন। সেটিই বড় কথা।
বাংলাদেশ শিপিং কর্পােরেশনের মহাব্যবস্থাপক ক্যাপ্টেন মুজিবুর রহমান বলেন, ইউক্রেন থেকে মলদোভা পৌঁছতে পথে পথে অনেক ভোগান্তিতে পড়েন। শেষ পর্যন্ত মলদোভায় পৌঁছায় আমরা স্বস্তিতে আছি। এখন বিষয়টি রোমানিয়া দুতাবাস দেখভাল করছে। যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষ করে তারা দেশে কখন ফিরবেন তা এখনো আমরা পাইনি।
জানা গেছে, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দর থেকে মলদোভার সড়কপথের দূরত্ব ৮১২ কিলোমিটার। সেই সড়কপথ পাড়ি দিতে নাবিকদের যথেষ্ট ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। এই পথে ইউক্রেন যোদ্ধারা সেতুগুলো ভেঙে দেয়ায় ভোগান্তি বেড়ে যায়। নাবিকদের বিকল্প পথ খুঁজেই পাড়ি দিতে হয়।
উল্লেখ্য, ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে বোমা হামলায় অচল ‘বাংলার সমৃদ্ধি’ জাহাজ থেকে ২৮ জীবিত নাবিক ও একজন নিহতকে উদ্ধার করা হয়। এরপর গত বৃহস্পতিবার রাতে ইউক্রেন বন্দরের কাছাকাছি কোনো এক স্থানে বিশেষ বাংকারে রাখা হয়েছে। সেখানে রাত পার করে শুক্রবার তাদের স্থানান্তর করার কথা জানান পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু গোলাগুলি বেড়ে যাওয়ায় তা আর সম্ভব হয়নি।
শিপিং করপোরেশনের এই জাহাজটি গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনের অলভিয়া বন্দরে পৌঁছে। জাহাজটি ইউক্রেন থেকে সিরামিকের কাঁচামাল নিয়ে ইতালিতে যাওয়ার কথা ছিল। তবে যুদ্ধ শুরু হয়ে যাওয়ার পর আর ফিরতে পারেনি।
বিএসডি/ এলএল