আন্তর্জাতিক ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপকে বিভক্ত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ করেছে জার্মানি। সরকারি সম্প্রচারমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই অভিযোগ করেছেন দেশটির ভাইস চ্যান্সেলর।
সাক্ষাৎকারে ইউরোপকে একসাথে থাকার বার্তাও দিয়েছেন তিনি। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
বার্তাসংস্থাটি বলছে, জার্মানির ভাইস চ্যান্সেলর রবার্ট হ্যাবেক বৃহস্পতিবার নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। আর প্রতিক্রিয়া হিসাবে ঐক্যবদ্ধ ইউরোপীয় ফ্রন্টের আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।
পাবলিক ব্রডকাস্টার ডয়েচল্যান্ডফাঙ্কের সাথে সাক্ষাৎকারে হ্যাবেক বলেন, “ইউরোপকে অবশ্যই একসাথে থাকতে হবে।”
হ্যাবেক জোর দিয়ে বলেন, প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্প নিজের প্রথম মেয়াদে আলাদাভাবে দেশগুলোর সাথে চুক্তি করে ইউরোপীয় ঐক্যকে বিভক্ত করার চেষ্টা করেছিলেন এবং তিনি (ট্রাম্প) আবারও তার সেই প্রচেষ্টাগুলোর পুনরাবৃত্তি করবেন বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন জার্মান এই ভাইস চ্যান্সেলর।
এর আগে ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল গ্রিনল্যান্ড দখল করতে সামরিক শক্তি প্রয়োগের হুমকি ফিরিয়ে না নেওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সতর্ক করে দেয় জার্মানি। জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস বলেছেন, “সীমানার অখণ্ডতার নীতি প্রতিটি দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। তা খুব ছোট বা খুব শক্তিশালী দেশ যাই হোক না কেন।”
জার্মানি ও ডেনমার্ক মার্কিন নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সদস্য। শলৎস জোর দিয়ে বলেন, “ন্যাটো আমাদের প্রতিরক্ষার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার এবং আটলান্টিক মহাসাগর উপকূলীয় দেশগুলোর সম্পর্কের কেন্দ্রবিন্দু।”
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার ট্রাম্প আবারও তার গ্রিনল্যান্ড অধিগ্রহণের ইচ্ছার কথা জানিয়ে বলেন, আর্কটিক দ্বীপ যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’। ২০১৯ সালে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম মেয়াদে গ্রিনল্যান্ড কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন ট্রাম্প। এরপর তিনি বারবারই এই ধারণা উত্থাপন করে আসছেন।
তবে যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের মার্কিন মিত্র ডেনমার্ক স্পষ্ট করে জানিয়েছে, গ্রিনল্যান্ড বিক্রির জন্য নয়। আর অঞ্চলটির মালিক মূলত এর বাসিন্দারা। গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মুট এগিদ ডেনমার্কের কাছ থেকে তার দেশকে স্বাধীন করার জন্য চাপ দিয়ে আসছেন।