জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গ্রেপ্তার ইকবালের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে অনুমান হয় যে তার কাছে অধিকতর তথ্য রয়েছে।
শনিবার (২৩ অক্টোবর) সরকারি বাসভবনে ব্রিফিংকালে বিএনপি মহাসচিবের কাছে প্রশ্ন রেখে আরও জানতে চেয়ে তিনি বলেন, আপনিই তথ্য প্রমাণ দিয়ে বলুন, এ কয়দিন ইকবাল কোথায় ছিল?
ওবায়দুল কাদের বলেন, ভিডিও ফুটেজে চিহ্নিত হওয়া কুমিল্লার পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরিফ রাখা ইকবাল হোসেনের গ্রেফতারে যখন সবাই স্বস্তি প্রকাশ করছে, তখন বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন তুলেছেন গ্রেফতার হওয়া যুবক এতদিন কোথায় ছিল? আসলে যেকোনো অর্জন বা সাফল্যকে বিতর্কিত করা বিএনপির স্বভাব।
তিনি বলেন, প্রতিটি বিষয়ে সন্দেহ করার বিরল প্রজাতির ভাইরাস আক্রান্ত বিএনপি।
অবস্থাদৃষ্টে জনমনে প্রশ্ন ও সন্দেহ দেখা দিয়েছে যে, বিএনপির এই অতিপ্রতিক্রিয়া বা আগ বাড়িয়ে কথা বলা তাদের নিজেদের অপরাধ লুকোনোর কৌশল কিনা। বিএনপির দ্বিচারিতা সম্পর্কে দেশের মানুষ ভালো করেই জানেন। তারা চোরকে বলে চুরি কর, আর গৃহস্থকে বলে সজাগ থাক।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি হিন্দু সম্প্রদায়ের সদস্যদের সবসময় প্রতিপক্ষ ভেবে আসছে। এখন সরকারের ওপর দায় চাপাচ্ছেন আর হিন্দু সম্প্রদায়ের জন্য মায়া কান্না করছেন।
বিএনপি মহাসচিবের কাছে জানতে চেয়ে তিনি বলেন, ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে আপনাদের ভোট না দেওয়ার কথিত অপরাধে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়েছিলেন কেন? কেন ঘরবাড়ি পুড়িয়েছিলেন, সম্পদ লুট করেছিলেন? নারীরা কেন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল?
সরকারের মদদ ছাড়া সাম্প্রদায়িক সমস্যা তৈরি হয় না, বিএনপি নেতাদের এমন অভিযোগ প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তাহলে ২০০১ সালের সমস্যার দায় কী বিএনপি স্বীকার করে নিচ্ছে? বিএনপি নেতারা এসব বিষয়ে স্পষ্ট করবেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জানান, গাজীপুরের মেয়র ও গাজীপুর সিটি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনসহ অন্যান্য আরও কিছু সাংগঠনিক শৃঙ্খলাবিরোধী উপস্থাপনীয় অভিযোগ আগামী ১৯ নভেম্বর শুক্রবার বিকাল ৪টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সভায় উত্থাপিত হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সভায় রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক আলোচনার পাশাপাশি দলীয় আদর্শ এবং শৃঙ্খলাবিরোধী বক্তব্যের জন্য গাজীপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র জাহাঙ্গীর আলমকে প্রদত্ত শোকজ নোটিশের ওপর আলোচনা ও সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।