নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসান বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে অর্জিত এ দেশের স্বাধীনতা যারা সহ্য করতে পারেনি তারাই ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ইতিহাসের এ বর্বরতম ও ন্যক্কারজনক হত্যাকাণ্ড থেকে ইউনিভার্সিটি ল্যাবরেটরি স্কুলের ৪র্থ শ্রেণির ছাত্র ১০ বছরের ছোট্ট শিশু শেখ রাসেলও রেহাই পায়নি।
সোমবার (১৮ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় পরীর পাহাড়ের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের ৫৮তম জন্মদিন ও শেখ রাসেল দিবস উদযাপন উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত আলোচনা সভা, ল্যাপটপ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার শানা শামীমুর রহমান, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ হাছান বারী নূর, চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) এস.এম রশিদুল হক পিপিএম (সেবা), জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার একেএম সরওয়ার কামাল দুলু ও মহানগর মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার শহীদুল হক চৌধুরী সৈয়দ প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের পরিবারে শেখ রাসেল ছিল সবার ছোট। ভাই-বোনের মধ্যে অন্যরা হলেন-মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতাযুদ্ধে মুক্তিবাহিনীর অন্যতম সংগঠক শেখ কামাল, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা শেখ জামাল ও শেখ রেহানা। আজ থেকে ৪৭ বছর আগে ঘাতকদের হাতে শিশু শেখ রাসেলের নির্মম মৃত্যু হলেও সে আছে এ দেশের প্রতিটি মানুষের অন্তরে।
আলোচনা সভা শেষে শেখ রাসেল দিবস উপলক্ষে লানিং অ্যান্ড আর্নিং-এ বিশেষ অবদান রাখায় পুরস্কার হিসেবে ১০ জন আউটসোর্সিং পারসনকে ১০টি ল্যাপটপ তুলে দেন অতিথিরা। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়। সবশেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন জেলা শিশু একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির প্রশিক্ষণার্থীরা।
বিএসডি / আইপি