খেলাধূলা প্রতিনিধি:
শুরুতে খেই হারিয়ে ফেলা বাংলাদেশ এরপর ধীরে ধীরে ছন্দে ফেরে। দুবার ইরাককে অলআউট করে প্রধমার্ধে ৩০-১৭ পয়েন্টে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। পয়েন্টের এ ব্যবধান বিরতির পরও ধরে রাখেন তুহিন তরফদাররা।
কাবাডিতে ইরাকের পথচলা মাত্র ছয় বছরের। এ অল্প সময়ের মধ্যে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটি নিজেদের চেনাতে শুরু করেছে আন্তর্জাতিক কাবাডিতে বেশ ভালোভাবেই। তবে কৌশলে আর অভিজ্ঞতায় এগিয়ে থাকা বাংলাদেশের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত আজ পেরে ওঠেনি ইরাক।
ম্যাচে বাংলাদেশ প্রথম ২০ মিনিটেই দুবার ইরাককে অলআউট করে দুটি লোনা তুলে নেয়। দ্বিতীয়ার্ধে অবশ্য জয় নিশ্চিত ভেবে নতুন কিছু খেলোয়াড়কে সুযোগ দেন কোচ সাজুরাম গায়েত। নতুন খেলোয়াড়েরাও কোচের আস্থার প্রতিদান দেন। ম্যাচের শেষ মিনিটে তুহিন একাই চার পয়েন্ট আনলে ফাইনালে ওঠার আনন্দে মেতে ওঠে পুরো গ্যালারি।
ম্যাচ শেষে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জেতা জাকির হোসেনের কণ্ঠে ছিল উচ্ছ্বাস। আগামীকাল কেনিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দ উদ্যাপন করতে চান তিনি, ‘কেনিয়া খুবই শক্তিশালী দল। তবে আমরাও এ টুর্নামেন্টে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলছি। আশা করি, কাল কেনিয়াকে হারিয়ে আমরাই চ্যাম্পিয়ন হব।’
কোচ সাজুরামও ট্রফিতেই চোখ রাখছেন, ‘আমাদের ছেলেরা পুরো টুর্নামেন্টেই ভালো খেলেছে। কেনিয়ার চেয়ে টেকনিকে, অভিজ্ঞতায় আমরাই এগিয়ে। শুধু উচ্চতায় একটু পিছিয়ে আছে বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা, তবে এসব নিয়ে ভাবছি না। ছেলেরা তাদের স্বাভাবিক খেলাটা খেলতে পারলে বাংলাদেশ আবারও চ্যাম্পিয়ন হবে।’
বিএসডি/ এমআর