আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের সব পরমাণু স্থাপনাকে আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা বা আইএইএ’র নজরদারির আওতায় আনার আহ্বান জানিয়েছে কাতার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় রোববার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়ে বলেছে, ইসরায়েলি পরমাণু স্থাপনাগুলোকে আইএইএ’র আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
দোহা থেকে এএফপি এই খবর জানায়।
শনিবার ভিয়েনায় আইএইএ’র এক বৈঠকে ওই সংস্থায় নিযুক্ত কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি জাসিম ইয়াকুব আল-হাম্মাদি এই আহ্বান জানানোর পাশাপাশি তেল আবিবকে পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তি বা এনপিটি স্বাক্ষরে বাধ্য করারও দাবি জানান।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, হাম্মাদি ভিয়েনা বৈঠকে বলেছেন, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ ও সাধারণ পরিষদের একাধিক প্রস্তাব এবং এনপিটি চুক্তির ভিত্তিতে ইসরায়েলকে তার সকল পরমাণু তৎপরতা আইএইএ’র সুরক্ষা ব্যবস্থার আওতায় আনতে হবে।
কাতারের রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল ছাড়া আর সব দেশ এনপিটি চুক্তিতে সই করেছে এবং প্রতিটি দেশ আইএইএ’র আইনের আওতায় রয়েছে।
ইসরায়েলের কাছে ২০০ থেকে ৪০০টি পরমাণু অস্ত্র রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে একমাত্র ইসরায়েলের কাছে এই গণবিধ্বংসী অস্ত্র রয়েছে। তবে তেল আবিব কখনও তার কাছে এই মারণাস্ত্র থাকার কথা স্বীকার বা অস্বীকার করেনি।
এছাড়া ইসরায়েল তার পরমাণু স্থাপনাগুলোকে আইএইএ’র নজরদারির আওতায় আনতে বা এনপিটি চুক্তিতে সই করতেও নারাজ। আমেরিকা নামক বিশ্ব মোড়লের পৃষ্ঠপোষকতায় আন্তর্জাতিক আইনের প্রতি এরকম বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করার সাহস করে আসছে তেল আবিব।
তবে বিষয়টি নিয়ে ইরান ছাড়া এর আগে আর তেমন কোনো দেশকে সোচ্চার হতে দেখা যায়নি। এবার অনেকটা অভূতপূর্বভাবে কাতার ইসরায়েলকে আইএইএ’র পরিদর্শনের আওতায় আনার আহ্বান জানাল।