গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে ভয়াবহ যুদ্ধ শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে এই যুদ্ধে ইসরায়েলের নির্বিচার বোমা হামলায় আট হাজার তিন শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এর মধ্যে অর্ধেই শিশু।
বর্তমানে আকাশপথে হামলার পাশাপাশি গাজায় স্থলঅভিযানও চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
এদিকে, ইসরায়েল-হামাসের এই যুদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ব অর্থনীতিতে এর প্রভাব হবে ভয়াবহ। এর কারণে বেড়ে যেতে পারে জ্বালানি তেল ও কৃষিপণ্যের দাম। সোমবার এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
ফিলিস্তিন-ইসরায়েলের নতুন এই সংঘাত শুরুর পর বিশ্ববাজারে তেলের দাম অন্তত ছয় শতাংশ বেড়েছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে আগে থেকেই সংকটে ছিল নিত্যপণ্যের বৈশ্বিক বাজার। তার ওপর বাড়তি চাপ যোগ করেছে ইসরায়েল ও হামাসের যুদ্ধ।
একে ‘১৯৭০-এর দশকের পর পণ্য বাজারে সবচেয়ে বড় ধাক্কা’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিশ্বব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ইন্দারমিত গিল। এক বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, এটি বিশ্ব অর্থনীতিতে বিপর্যয়কর প্রভাব ফেলেছে, যা আজও অব্যাহত রয়েছে।
তিনি বলেন, নীতিনির্ধারকদের সজাগ থাকতে হবে। সংঘর্ষ যদি বাড়তে থাকে, তাহলে বিশ্ব অর্থনীতি কয়েক দশকের মধ্যে প্রথমবারের মতো দ্বৈত ধাক্কার মুখোমুখি হবে।
বিশ্বব্যাংক বলেছে, সম্ভাব্য অনেক মূল্যবৃদ্ধি নির্ভর করছে বিশ্ববাজারে তেলের দাম এবং রফতানি পরিস্থিতির ওপর।
একটি আশাবাদী পরিস্থিতিতে তেলের দাম ৩ থেকে ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে। এর ফলে ব্যারেলপ্রতি দাম থাকবে ৯৩ থেকে ১০২ মার্কিন ডলারের মধ্যে।
মধ্যম দৃশ্যকল্পে ব্যারেলপ্রতি তেলের দাম ১২১ ডলার পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে। আর সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতিতে দাম উঠতে পারে ১৪০ থেকে ১৫৭ ডলার পর্যন্ত। তেমনটি হলে তেলের দাম হবে ২০০৮ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। সূত্র: ওয়েল প্রাইস, এপি, দ্য গার্ডিয়ান, ফিন্যান্সিয়াল টাইমস, ভয়েস অব আমেরিকা, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস
বিএসডি/ এফ এ