নিজস্ব প্রতিবেদক
ইসলামকে মানবতার মুক্তির জন্য পৃথিবীতে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমিন।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে চট্টগ্রামের প্যারেড ময়দানে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ আয়োজিত পাঁচ দিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের প্রথম দিনের প্রধান মুফাসসিরের আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মাওলানা আবদুল্লাহ আল আমিন বলেন, চট্টগ্রামের এই প্যারেড ময়দান শহীদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর হাতে গড়া। দীর্ঘ ৩২ বছর একটানা পাঁচদিন করে আলোচনা করেছেন। তার কথা ইসলামের জন্য এক একটা গাঁথুনি।
তিনি আরও বলেন, আল্লামা সাঈদী বেঁচে থাকলে আজকে আমরা তাকে আবারও পেতাম। আল্লামা সাঈদীকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি একটি ইতিহাস। তার স্বপ্ন ছিল বাংলার জমিনে ইসলামী আইন কায়েম করা।
তিনি বলেন, রাসুলের (সা.) সমগ্র জীবন আমাদের জন্য অনুকরণীয় ও অনুস্মরণীয়। তার সফল জিন্দেগির অন্যতম হলো ইসলামকে মানবতার মুক্তির জন্য পৃথিবীতে বিজয়ী শক্তি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা। রাসুল (সা.) তার সাহাবীদের নিয়ে আল্লাহর নির্দেশে একটি কার্যকর ইসলামী আন্দোলন শুরু করেছিলেন। যার মাধ্যমে মানবতা প্রকৃত মুক্তির দিশা পেয়েছিল।
স্বাগত বক্তব্যে অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের বলেন, এই মাঠে পাঁচ দিনব্যাপী মাহফিলে তাফসির করতেন হযরত মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। কিন্তু তিনি এখন আর নেই। তবে আমরা পাঁচ দিনে পাঁচ রত্নকে রেখেছি। শেষদিন তাফসির করবেন তরুণ সমাজের আইডল ড. মিজানুর রহমান আজহারী।
তাফসিরুল কোরআন মাহফিল বাস্তবায়নে গঠিত শৃঙ্খলা কমিটির প্রধান অধ্যক্ষ মুহাম্মদ নুরুল আমিন ও ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি মাওলানা খাইরুল বাশারের সঞ্চালনায় মাহফিলে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি অধ্যক্ষ মুহাম্মদ তাহের।
মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন— ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি আলহাজ্ব শাহজাহান চৌধুরী, প্রবীণ আলেম মাওলানা এবিএম সিদ্দিকুল্লাহ ও পরিষদের সহ-সভাপতি মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম।
এর আগে মাগরিবের পর পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত, হামদে বারি তাআলা ও নাতে রাসুল (সা.) পরিবেশনের মধ্যদিয়ে মাহফিলের কার্যক্রম শুরু হয়।
প্যারেড ময়দানে তাফসিরুল কোরআন মাহফিলের আয়োজন করে আসছে ইসলামী সমাজ কল্যাণ পরিষদ। ৫ দিনব্যাপী এ আয়োজনে উপস্থিত থাকতেন প্রয়াত ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী। তার উপস্থিতিতে জনসমুদ্রে পরিণত হতো পুরো প্যারেড ময়দান। বাধা কাটিয়ে ১৮ বছর পর সাঈদীর স্মৃতি বিজড়িত সেই মাঠে শুরু হলো ঐতিহাসিক সেই তাফসির মাহফিল।