আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
রোববার অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করেছে জেলা প্রশাসন। মোটরসাইকেলে একাধিক ব্যক্তির আরোহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কনটেইনার ও কাঁটাতার দিয়ে রেড জোন সিল করে দেওয়া হয়েছে। রেড জোনের ভেতরে এবং আশপাশের এক কিলোমিটারের মধ্যে সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। খবর জিওনিউজ ও ট্রিবিউন এক্সপ্রেসের।
খবরে আরও বলা হয়, ইসলামাবাদ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এক নোটিশে রেড জোন এলাকায় পাঁচজনের বেশি মানুষের সব ধরনের জমায়েত, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা আশঙ্কা করছেন, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সমর্থকরা রেড জোনে ঢুকে পড়তে পারেন এবং পার্লামেন্ট ভবন অবরুদ্ধ করতে পারেন, যা উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করতে পারে। রেড জোনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বিক্ষোভকারীদের প্রবেশে বাধা দিতে রাজধানীর প্রশাসন রেড জোনের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দিয়েছে।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্যে কী ঘটতে যাচ্ছে তা জানা যাবে আজ। বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের ওপর আজ দেশটির জাতীয় পরিষদের ভোট হওয়ার কথা রয়েছে।
স্থানীয় সময় রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় ইমরান খানের এ ভাগ্যনির্ধারণী অধিবেশন শুরু হবে। অধিবেশন ঘিরে সংঘাতের আশঙ্কা করছে দেশটির দেশটির আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এ জন্য রাজধানী ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কোণঠাসা হয়ে পড়া ইমরান খান এখনও আত্মপ্রত্যয়ী। শেষ মুহূর্তে ফল পাল্টে দেবেন বলে জোর দিয়ে বলছেন তিনি।
জিওনিউজের প্রতিবদেনে বলা হয়েছে, জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ একটি শরিক দল বিরোধী শিবিরে যোগ দেওয়ায় পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায় ইমরানের দল। বিরোধী দলগুলোর আইনপ্রণেতার সংখ্যা বেড়ে যায়। অনাস্থা প্রস্তাব পাসে বিরোধীদের প্রয়োজন ১৭২ ভোট। তাদের প্রতি ১৯৯ আইনপ্রণেতার সমর্থন আছে।
এদিকে ‘বিশ্বাসঘাতকদের’ বিরুদ্ধে বিক্ষোভের প্রকাশ্যে আহ্বান জানানো এবং ‘বিদেশি ষড়যন্ত্র’ নিয়ে সৃষ্ট ক্ষোভের মতো খুবই স্পর্শকাতর বিষয়গুলোতে ব্যাপক রাজনৈতিক বিভক্তি তৈরি হয়েছে, যা বিশৃঙ্খলা ও দাঙ্গাহাঙ্গামার কারণ হতে পারে।
বিএসডি/ এমআর