মিডিয়া ডেস্ক,

নির্বাচন কমিশন (ইসি) বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে পুলিশ ও ইসি কর্মকর্তাদের অসৌজন্যমূলক আচরণসহ সব ধরনের হয়রানিমূলক ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতারা। এ জন্য ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছেন তারা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্ত শেষ করা না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন সাংবাদিকরা।  

মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে অনুষ্ঠিত ‘মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে’ এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ইসি বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে ৪ দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। দাবিগুলো হচ্ছে:

২. নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সব গণমাধ্যম-কর্মীকে মুক্তভাবে নির্বাচন কমিশনের সংবাদ সংগ্রহ করার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তাদের কোনো ধরনের হয়রানি করা যাবে না। নির্বাচন ভবনের সব জায়গায় যাওয়ার অনুমতি দিতে হবে।

৩. সকল প্রকার তথ্য পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। শুধু ঢাকার নির্বাচন ভবন নয়, ইসির জেলা উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তারাও সাংবাদিকদের হয়রানি করেন, নির্বাচন সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে সারাদেশে সাংবাদিক হয়রানি বন্ধ করতে হবে।

৪. গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য ইসির ভবনে অবাধ প্রবেশের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে কোষাধ্যক্ষ দীপ আজাদ, সিনিয়র সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান, ডিইউজে প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. আছাদুজ্জামান, নির্বাহী পরিষদ সদস্য রাজু হামিদ, সাবেক নির্বাহী পরিষদ সদস্য গোলাম মুজতবা ধ্রুব।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (একাংশের) সহ-সভাপতি রাশেদুল হক। ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান খান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ শুক্কর আলী শুভ, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব। সাবেক ডিআরইউ নেতা শাহনাজ শারমিন, সচিবালয় বিটের সংগঠন বিএসআরএফ এর কার্যনির্বাহী সদস্য শাহজাহান মোল্লা ও ইসমাইল হোসেন রাসেল।

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন প্রতিদিনের সংবাদ সম্পাদক শেখ নজরুল ইসলাম। পরিচালনা করেন প্রতিদিনের সংবাদের সিনিয়র রিপোর্টার গাজী শাহনেওয়াজ।

বিএসডি/আইপি