প্রযুক্তি ডেস্ক,
‘বঙ্গবন্ধু, বাংলাদেশ, তারুণ্য ও তথ্যপ্রযুক্তি’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার বিকেলে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ই-ক্যাব) এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।
সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধু যদি আপস করতেন, তাহলে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে পারতেন। তিনি তা করেননি। কারণ তিনি জানতেন, পাকিস্তান দিয়ে মানুষের উন্নতি হবে না। শিক্ষা ও প্রযুক্তির বিকাশ হবে না। তিনি বলেছিলেন, ‘তোমাদের যার যা কিছু আছে, তাই নিয়ে প্রস্তুত হও’। বঙ্গবন্ধু এ আহ্বানে শুধু অস্ত্রের কথা বলেননি, তিনি যেকোনো প্রযুক্তির কথাও বলেছেন। তখন রেডিওতে গানের মাধ্যমেও অনেকে মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণা যুগিয়েছেন। বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফসল স্বাধীন দেশ এবং আজকের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।
বিশেষ অতিথি আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি নিরস্ত্র জাতির তরুণদের নিয়ে সর্বাত্মক ও সশস্ত্রদল গঠন করে একটি নতুন দেশ উপহার দিয়েছেন। ৭০ এর নির্বাচনী বক্তৃতায় তিনি শিক্ষা ও প্রযুক্তির উন্নতির কথা বলেছেন। বঙ্গবন্ধুর তথ্য প্রযুক্তির পৃষ্ঠপোষকতার সবচেয়ে বড় উদাহরণ হলো ১৯৭২ সালে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানোর জন্য তিনি প্রযুক্তিভিত্তিক একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। এর প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করেন একজন বিশিষ্ট বিজ্ঞানীকে, যাকে ড. কুদরত-ই–খুদা নামে আমরা চিনি।
ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন সেই নেতা, যিনি একটি যুদ্ধবিধস্ত দেশের দায়িত্ব পেয়ে অবৈতনিক শিক্ষা ও শিক্ষা উপকরণসহ যা যা করা দরকার, তার সব করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজকের এ অগ্রগতি। মুক্তিযুদ্ধের সময় একশ্রেণীর মানুষ বলেছিল দেশ স্বাধীন হবে না। কিন্তু তরুণরা তাদের কথা শোনেনি, তারা বঙ্গবন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে যুদ্ধে নেমেছিল। তাই আজ আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অভাবনীয় উন্নতি হয়েছে, যার ক্ষেত্রগুলো বলে শেষ করা যাবে না।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক বলেন, বঙ্গবন্ধুর পথ ধরেই আজকের বাংলাদেশের ডিজিটাল যুগের সমৃদ্ধি ঘটছে। স্যাটেলাইট থেকে শুরু করে ডিজিটাল প্রযুক্তি র্সবক্ষেত্রে বাংলাদেশের গৌরবময় অগ্রযাত্রায় তারুণ্যশক্তি অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্সের ক্ষেত্রে যে উন্নতি ঘটেছে, তা সরকারের বিভিন্ন ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফসল।
ই-ক্যাবের প্রেসিডেন্ট শমী কায়সার বলেন, পাকিস্তানি হানাদার ও তাবেদার শক্তি মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এ দেশের মানুষের স্বাধীনতার চেতনা সমূলে উপড়ে ফেলতে চেয়েছিল। সেখানে তারা ব্যর্থ হয়ে ১৫ আগস্ট সংগঠিত করেছিল নারকীয় তাণ্ডব। তারা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তারা সফল হয়নি।
সভা সঞ্চালনা করেন ই-ক্যাবের জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল। শুরুতে ৭১ সালের ১৫ আগস্টের সব শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে কোরআন তেলাওয়াত ও মোনাজাত করা হয়।
বিএসডি/আইপি