ক্রীড়া ডেস্ক:
বাংলাদেশের উইকেট মানেই ঘূর্ণি। যে দলই বাংলাদেশ সফরে আসুক না কেন, এমন ঘূর্ণি উইকেটে মহাবিপদে পড়ে যায়। এই তো কয়দিন আগেই অতি মন্থর আর টার্নিং উইকেট বানিয়ে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দেশের বাইরে খেলতে গেলেই জয় এবং রান- কোনোটার দেখাই পাওয়া যায় না। তাছাড়া দেশের ঘরোয়া ক্রিকেটের ম্যাচগুলোও হয় এমন টার্নিং আর ধীরগতির উইকেটে। বারবার বলার পরও বিসিবি এ ধরনের উইকেট পরিবর্তনের কোনো উদ্যোগ নেয় না।
চলতি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ যে উইকেটগুলোতে খেলেছ, সেগুলো মিরপুরের উইকটের কাছাকাছি। শারাজার উইকেট তো প্রায় মিরপুরের মতোই। তারপরও সেই উইকেট থেকে সুবিধা নিতে পারেনি বাংলাদেশের ব্যাটার কিংবা বোলাররা। ওমানের স্পোর্টিং উইকেটে স্কটল্যান্ডের মতো দলের কাছে হারতে হয়েছে। সুপার টুয়েলভে টানা তিন হারে বাংলাদেশই এখন তলানিতে। দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন মনে করছেন, দেশের উইকেটই এজন্য দায়ী।
বিসিবির পাঠানো ভিডিওবার্তায় হাবিবুল বলেন, ‘এই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আসার আগে আমরা অনেকগুলো ম্যাচ খেলে এসেছি, এটা একটা সুবিধা ছিল। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড সিরিজের উইকেট নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। জয় তো অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের আসলে যেটা দরকার বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ঘরোয়া যে টুর্নামেন্ট খেলি সেখানে ব্যাটিং উইকেট তৈরি করা। আমরা যখন বিপিএল বা অন্য টুর্নামেন্ট খেলি তখন বারবার একই উইকেটে খেলার কারণে ভাল উইকেট পাই না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো উইকেট না পাওয়ায় দেশে পাওয়ার হিটার তৈরি হচ্ছে না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি আপনার কন্ডিশনের সুবিধা নিতে চাইবেন। আমার মনে হয় আমাদের ঘরোয়া টুর্নামেন্টগুলোতে ভালো উইকেট বানাতে হবে। দলের সবাই আসলে খুব হতাশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে হয়ত আমরা দাঁড়াতেই পারিনি। কিন্তু শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে আমাদের জেতার সুযোগ ছিল। শেষ ম্যাচটা হৃদয় ভাঙ্গা ছিল, এটা জিততে পারলে চাঙ্গা হয়ে যেতাম। যাই হোক, আমরা জয় দিয়ে শেষ করতে চাই।’
বিএসডি /আইপি