ক্রীড়া ডেস্ক,
অস্ট্রেলিয়ার বাংলাদেশ সফরে তীক্ষ্ণ নজর রেখেছিল নিউজিল্যান্ড। সেই সিরিজ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ তারা শুরু করে দেশ থেকেই। লিঙ্কনে অনুশীলনও করেছে স্লো-স্পিনিং উইকেটে। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ২২ গজের রহস্য ভেদ করতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। নিউজিল্যান্ড অবশ্য রহস্য উদঘাটনের সবরকম চেষ্টা করে যাচ্ছে। প্রথমবারের মতো জাতীয় দলে ডাক পাওয়া কিউই অলরাউন্ডার রাচিন রবীন্দ্র বলছেন এমন কথাই।
নিউজিল্যান্ড দলে ডাক পাওয়ার পর স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাতকার দিয়েছেন রবীন্দ্র। সেখানে তিনি বলেছিলেন ‘বাংলাদেশের কন্ডিশন টি-টোয়েন্টির জন্য আদর্শ নয়’। টি-টোয়েন্টিতে চার-ছক্কার ফুলঝুরি ছোটে।
তবে মিরপুরে ভিন্ন এক টি-টোয়েন্টির দেখা মেলে। স্লো-টার্নিং পিচে রান তুলতে গলদঘর্ম ব্যাটসম্যানদের। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যানরা বড় শট খেলতে গিয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। সিরিজের আগে অনুশীলন ম্যাচ খেলবে না নিউজিল্যান্ড। অনুশীলনেই কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টা সফরকারীদের। রবীন্দ্র বলেন, ‘কিছুটা অচেনা কন্ডিশন। নিউজিল্যান্ডের চেয়ে বেশ ভিন্নতা রয়েছে। এই কন্ডিশন এবং তাপের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে। পিচ অনেক টার্ন করবে। বল আসবে ধীর গতিতে। আমাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জিং হবে। আগামী কয়েকদিনে নিজেদের মানিয়ে নেয়া এবং পরিকল্পনা সাজাতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সিরিজে ওভারপ্রতি ৬ রানও ওঠেনি। সেটা বুঝেই ব্যাটিং করার পরিকল্পনা নিউজিল্যান্ডের। এই তরুণ অলরাউন্ডার বলেন, ‘এখানে সোজা ব্যাটে খেলার চেষ্টা করতে হবে। বুঝে খেলতে হবে। ওভার প্রতি ৬ রান করে তুলতে পারলেই যথেষ্ট। নিউজিল্যান্ডে যা ৮ বা ১০ রান।’
মিরপুরের উইকেটে বড় শট কিংবা চার-ছক্কা মারার চেষ্টা করতে গিয়ে খুব বেশি সফল হওয়া যাবে না। এটা মানেন রবীন্দ্র। ভারতীয় বংশোদ্ভূত এই স্পিনিং অলরাউন্ডার বলেন, ‘রান করার প্রত্যাশা আমাদের কমাতে হবে। উইকেটে গিয়ে বুঝতে হবে কিভাবে আমরা রান করতে চাই। অস্ট্রেলিয়া সিরিজে দেখেছি, এখানে ১৩০ রান জয়ের মতো স্কোর।’
২০১৬ সালে প্রথমবার বংলাদেশ সফর করেছেন রবীন্দ্র। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মিরপুরে একটি ম্যাচ খেলেছেন তিনি। জাতীয় দলে অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা রবীন্দ্র শিখতে চান বাংলাদেলে তারকা ক্রিকেটারদের কাছ থেকে। তিনি বলেন, ‘ মাত্রই তারা অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪-১ ব্যবধানে জিতল। সাকিব, মাহমুদউল্লাহ, মুশফিকুর, মুস্তাফিজের মতো বিশ্বমানের ক্রিকেটার আছে তাদের। সত্যিই দারুণ কিছু ক্রিকেটার তাদের আছে। তাদের কাছ থেকেও আমরা শিখতে পারি এবং বুঝতে পারি যে নিজেদের কন্ডিশনে তারা কী করে। আশা করি তাদের দেখে শিখে আমাদের খেলায় তা কাজে লাগাব।’
বিএসডি/এএ