নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা প্রায় পাঁচ শতাধিক অবৈধ স্থাপনা আবারো উচ্ছেদ করেছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ। সোমবার দুপুর ১১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল মোড়ে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
কয়েকদিন আগে উচ্ছেদ হলেও এ সকল অবৈর্ধ স্থাপনায় দোকান বসে যায়। থানা পুলিশ, সড়ক ও জনপথ বিভাগের সমন্বয়ে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করে রিপন নামে এক চাঁদাবাজ চক্র বিভিন্ন দোকানপাট থেকে দীর্ঘদিন ধরে নির্দিষ্ট হারে হকারদের কাছ থেকে ভাড়া আদায় করে আসছিল। এসব দোকান থেকে এককালীন ৫০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা অগ্রিম নিয়ে দৈনিক ২০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত ভাড়া আদায় করে তারা। এভাবে ১৫ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে চক্রটি।
গত ১৯ ডিসেম্বর থেকে সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশ কয়েকবার উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলেও পুনরায় ওই জায়গায় অবৈধ এসব দোকানপাট বসে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে ব্যবসায়ীরা।
রাস্তায় নিয়মিত চলাচল করা তামান্না আক্তার নামে এক পথচারী জানান, মহাসড়কের এসব দোকানপাট গড়ে ওঠায় পথচারীদের চলাচল করতে অনেক অসুবিধা হয়। প্রতিনিয়তই মানুষের জটলা লেগে থাকায় এখানে পকেটমার ও ছিনতাইকারীর আনাগোনা বেশি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন হকার ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, মুরগি রিপন ও তার সহযোগীরা প্রতিদিন পুলিশ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক বিভাগের নাম করে চাঁদা উত্তোলন করে। তারা আরো জানান, মুরগি রিপনকে চাঁদা না দিলে তিনি ও তার বাহিনীর সদস্যরা ব্যবসায়ীদের শারীরিক নির্যাতনের পাশাপাশি উচ্ছেদের হুমকি দিতো।
সিদ্ধিরগঞ্জ থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) সাইফুল ইসলাম জানান, যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরেই অবৈধ দখলদারদের এসব অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। মহাসড়কে প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলায় এ অভিযান ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।
বিএসডি/ এলএল