নিজস্ব প্রতিবেদক
মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে সংযুক্তি বা কানেক্টিভিটি নিয়ে উজবেকিস্তানের রাজধানী তাসখন্দে দুদিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার (১৯ জুলাই) ভোর ৫টার পর তিনি ঢাকায় পৌঁছান। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তাসখন্দে দুদিনের সম্মেলন যোগ দিতে ১৪ জুলাই (বুধবার) সকালে ঢাকা ছাড়েন ড. মোমেন। সফরের শুরুর দিনে উজবেকিস্তানের বাংলাদেশ দূতাবাসে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ পরিদর্শন করেন তিনি। ওইদিন সম্মেলনের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্কর, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও উজবেকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সিরোজিদ্দিন মুহিরিদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এরপরদিন কানেক্টিভিটি সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ড. মোমেন। ওইদিন উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্ট শাভকাত মিরজিইয়োইয়েভেক, রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ ও কুয়েতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আহমেদ নাসের আল-মোহাম্মদ আল সাবাহর সঙ্গে বৈঠক করেন।
সফরে কানেক্টিভিটি সম্মেলনের বক্তব্যে মোমেন মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্তির মাধ্যমে বাণিজ্য প্রসার, দ্বিগুণ কর পরিহার ও ভিসা সহায়তায় দ্বিপাক্ষিক চুক্তির গুরত্ব তুলে ধরেন।
উজবেকিস্তানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ঢাকার সঙ্গে তাসখন্দে সরাসরি ফ্লাইট চালুসহ বাংলাদেশে দেশটির দূতাবাস খোলার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছেন মোমেন। অন্যদিকে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে ব্যবসা-বিনিয়োগ বাড়াতে যৌথ কার্যনির্বাহী কমিশন গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন ড. মোমেন।
ড. মোমেনের এ সফরে ঢাকার জন্য প্রধান আকর্ষণ ছিল ভারত, চীন ও রাশিয়ার মতো গুরত্বপূর্ণ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক। কেননা, সম্মেলনের সাইড লাইনের ফাঁকে এসব শিডিউল পেতে বেশ কূটনৈতিক তৎপরতা চালাতে হয়েছে ঢাকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের। তিন গুরত্বপূর্ণ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কের সঙ্গে হওয়া বৈঠকটির দিকে বেশ নজর ছিল ঢাকার। কেননা, ভারত থেকে অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে সুখবরের আশায় ছিল ঢাকা। তবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কূটনৈতিক সূত্র বলছে, মোমেন-জয়শঙ্করের বৈঠক ঢাকাকে টিকা দেওয়ার বিষয়ে কোনো সুখবর দিতে পারেনি নয়া দিল্লি। বরং বিভিন্ন উৎস থেকে ঢাকার টিকা প্রাপ্তির বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন জয়শঙ্কর।
অন্যদিকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে টিকা সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পাশাপাশি যৌথ টিকা উৎপাদনেও সহযোগিতার আশ্বাস দেন। আর রোহিঙ্গা ইস্যুতে বরাবরই মিয়ানমারকে সমর্থন করা রাশিয়া প্রত্যাবাসন ইস্যুতে ঢাকার সঙ্গে নেইপিডো যেন সংলাপে বসে সেজন্য দেশটিকে উৎসাহিত করবে।
বিএসডি/এমএম