স্পোর্টস ডেস্ক:
মহাতারকাকে দলে টানার বিড়ম্ভনা বুঝি এমনই! টানা ছয় ম্যাচে জিতেছে পিএসজি। কোথায় সে নিয়ে আলোচনা চলবে, তা না করে কোচ মরিসিও পচেত্তিনোকে ‘জবাবদিহি’ করতে হলো লিওনেল মেসিকে বদলি হিসেবে তুলে দেওয়া নিয়ে!
মাউরো ইকার্দির শেষ সময়ের গোলে লিওঁকে হারিয়েছে পিএসজি। সেই ইকার্দিকেও বদলি হিসেবে নামাতে হয়েছিল তাকে। তবে সেই প্রসঙ্গ ছাপিয়ে উঠে এল মেসির কথাই। পচেত্তিনো অবশ্য জানালেন, যা করেছেন তিনি, দলের ভালোর জন্যই করেছেন। এরপর জানালেন উঠে যাওয়ার সময় মেসির সঙ্গে তার কথোপকথনের বিষয়েও।
লিওঁর বিপক্ষে সবশেষ ম্যাচে মেসিকে কোচ পচেত্তিনো তুলে নিয়েছিলেন ৭৫তম মিনিটে। তবে তা বড় করে দেখা হচ্ছে, কারণ তখনো যে ম্যাচ জয়ের নিশ্চয়তা ছিল না দলের! এমন পরিস্থিতিতে মেসিকে বদলি হিসেবে তুলে নেওয়ার দৃশ্য যে বিরল!
তার আগেই অবশ্য হাঁটু নিয়ে কিছুটা অস্বস্তি ছিল তার। যদিও ডাগআউটে থাকা কোচকে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, সমস্যা হচ্ছে না তার। এরপরও তুলে নেওয়া হলো তাকে, তাতেই মেসি অবাক হয়েছিলেন বেশ। হতাশও হয়েছিলেন বৈকি। নাহয় অন্তত উঠে যাওয়ার সময় হাতটা তো মেলাতে পারতেন কোচের সঙ্গে, তাও করেননি।
তবে পিএসজি কোচ পচেত্তিনো জানালেন মেসিকে তুলে দেওয়ার কারণ। বললেন, ‘আমাদের ৩৫ জনের স্কোয়াডে দারুণ সব খেলোয়াড় আছে। তবে মাঠে কেবল ১১ জনকেই একসঙ্গে খেলানো সম্ভব। এর বেশি নয়। দল ও খেলোয়াড়ের জন্য যেটা সবচেয়ে ভালো, সিদ্ধান্তগুলো সে কারণেই নেওয়া হয়।’
এই সিদ্ধান্তে আর্জেন্টাইন অধিনায়কের ভালো লাগুক আর নাই লাগুক, পচেত্তিনো জানালেন, কোচেদের কাজটাই এমন। বললেন, ‘সব কোচই দল আর খেলোয়াড়দের ভালো চান। হয়তো এসব সিদ্ধান্ত কাজে লাগে, কখনো লাগে না। ফুটবলাররাও এসব কখনো পছন্দ করে, কখনো করে না। তবে দিনশেষে, কোচেরা তো এ কারণেই ডাগআউটে দাঁড়ান!’
বললেন, ‘এই সিদ্ধান্তগুলো কোচকেই তো নিতে হয়। প্রতিক্রিয়ার কথা যদি জানতে চান তাহলে বলি, আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম সে ঠিক আছে কিনা। সে বলেছিল যে, যে ঠিকঠাক আছে। এমনই কথা চালাচালি হয়েছে আমাদের।’