আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
এক সপ্তাহেরও কম ব্যবধানে গতকাল মঙ্গলবার আবারো ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্রসহ ছয়টি দেশ যখন কোরিয়া উপদ্বীপকে অস্থিতিশীল করে তোলে এমন ‘কর্মকাণ্ড’ বন্ধে পিয়ংইয়ংয়ের প্রতি জানিয়েছে তখনই নতুন এই ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা। এর প্রতিক্রিয়ায় এবার উত্তর কোরিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
বুধবার উত্তর কোরিয়ার পাঁচ কর্মকর্তার ওপর এ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। বলা হচ্ছে, পিয়ংইয়ংয়ের সর্বশেষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার প্রথম প্রতিক্রিয়ায় এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। একইসঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ উত্তর কোরিয়ার আরও এক ব্যক্তি, এক রুশ নাগরিক এবং রাশিয়ার একটি কোম্পানির বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছে। অভিযুক্ত এসব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পিয়ংইয়ংয়ের গণবিধ্বংসী কর্মকাণ্ডে সহায়তা দিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
এদিকে, একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার কৌশলগত সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর আহ্বানও জানিয়েছেন দেশটির সর্বোচ্চ নেতা কিম জং উন। মঙ্গলবার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ পর্যবেক্ষণকালে তিনি এ আহ্বান জানান। আজ বুধবার দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা কেসিএনএ এ তথ্য জানিয়েছে।
গণমাধ্যমটি জানিয়েছে, পরীক্ষা চালানোর সময় কিম জং উন সামরিক বিজ্ঞানীদের ‘দেশের কৌশলগত সামরিক শক্তিকে গুণগত ও পরিমাণ উভয়ক্ষেত্রে দৃঢ়ভাবে গড়ে তোলার প্রচেষ্টাকে আরও ত্বরান্বিত করতে এবং সেনাবাহিনীকে আরও আধুনিকীকরণের আহ্বান জানান।’ এদিকে, উত্তর কোরিয়ার উৎক্ষেপণ করা ক্ষেপণাস্ত্রটি ব্যালিস্টিক নয়, বরং এটি হাইপারসনিক মিসাইল ছিল বলে দাবি করেছে দেশটি।
বুধবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম কেসিএনএ’র বরাত দিয়ে এই তথ্য প্রকাশ করেছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম। মঙ্গলবার সপ্তাহে দ্বিতীয়বারের মতো দেশটির পূর্ব উপকূলের দিকে ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ করে উত্তর কোরিয়া, যা শনাক্ত করে প্রতিবেশী দক্ষিণ কোরিয়া ও জাপান।
বিএসডি /আইপি