নিজস্ব প্রতিবেদক
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন ও তার স্ত্রী শাহানাজ আকতারের প্রায় ১৬ কোটি ৫৫ লাখ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এর মধ্যে বেহাত হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকায় দুজনের ১১ কোটি ৬২ লাখ টাকার সম্পদ ক্রোকের আবেদন করা হয়।
দুজনের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানের দায়িত্বে থাকা দুদকের উপসহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ বিপ্লব বাদী হয়ে মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আবেদনটি করেছেন।
শুনানি শেষে আদালত এসব সম্পদ ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন দুদক চট্টগ্রামের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।
জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা জিয়াউল হক সুমন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১১ (পতেঙ্গা-বন্দর) আসনে তিনি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যান।
ওই সময় নির্বাচন কমিশনের দাখিল করা হলফনামায় নিজের পেশা ব্যবসা দেখিয়েছেন। সেই ব্যবসার পৃথক পাঁচটি খাতে (কৃষি; বাড়ি/অ্যাপার্টমেন্ট/দোকানভাড়া; ব্যবসা; শেয়ার, সঞ্চয়পত্র/ব্যাংক আমানত, সম্মানীসহ অন্যান্য) তার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছিল ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।
জিয়াউল হক সুমনের ব্যাংক ও অন্যান্য খাতে ৪৫ লাখ টাকার দায়দেনা থাকলেও নিজের নামে ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ২৬৩ টাকা ও স্ত্রীর নামে ১ লাখ টাকা নগদ দেখানো হয়েছে। এ ছাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমা দেখানো হয়েছে নিজের নামে ১৫ কোটি ৪৮ লাখ ৩৫ হাজার ৭৪৯ টাকা আর স্ত্রীর নামে ৯৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। নিজের ও স্ত্রীর নামে তিনটি গাড়ি এবং ১ লাখ টাকার স্বর্ণালংকার রয়েছে উল্লেখ করা হয়।
এইচএসসি পাস জিয়াউল হক সুমনের যৌথ মালিকানায় কেনা কোটি টাকার স্থাবর সম্পত্তি রয়েছে বলে হলফনামায় উল্লেখ করেন।