মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের পিচ কতটা ব্যাটিং সহায়ক সেটি বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়া প্রতিটি দলই জানে। সেই পিচে পরপর দুই ম্যাচে সাড়ে তিনশ পেরোনো সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। সর্বশেষ তাদের দেওয়া ৩৮৩ রানের জবাবে বাংলাদেশের ইনিংস থামে ২৩৩ রানে। অথচ এই পিচে ৩৩০-৩৪০ রান তাড়ায়ও জেতা সম্ভব বলে মন্তব্য করেছেন টাইগারদের হয়ে সেঞ্চুরি পাওয়া মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে গতকাল বাংলাদেশকে প্রথম ইনিংসে বিধ্বস্ত করেন কুইন্টন ডি কক ও হেনরিখ ক্লাসেন। যার জন্য ম্যাচ শেষে তাদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে অভিজ্ঞ এই টাইগার ক্রিকেটারের মতে, ৩৩০-৩৪০ রানে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আটকাতে পারলে সেই রান তাড়া করে জয়লাভ করা সম্ভব ছিল বাংলাদেশের জন্য।
সংবাদ সম্মেলনে রিয়াদ বলেন, ‘৪০ ওভারে তাদের ২৩০-২৪০ রান ছিল। স্কোর যদি ৩৩০-৩৪০ হতো তাহলে ভালো হতো। এ নিয়ে সাকিব-মুশির সঙ্গেও কথা বলছিলাম, বোলারদের সঙ্গেও কথা হচ্ছিল। কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছিল উইকেট খুব ভালো ছিল। ৩২০-৩৩০ রান তাড়া করার মতো ছিল এই উইকেটে। সে হিসেবে ৩৮০ রান অনেক বেশি। বোলাররা যে গা-ছেড়ে বোলিং করেছে তাও নয়। তাদের পূর্ণ চেষ্টাই করেছে। যখন ক্লাসেন এবং কুইনি (ডি কক) ছন্দে থাকে তাদের থামানো কঠিন।’
অন্যদিকে, নিজেদের পারফরম্যান্স নিয়ে নিয়মিত আলোচনা করলেও মাঠে এসে তার প্রমাণ দিতে পারছেন না টাইগার ক্রিকেটাররা। অবশ্য পরবর্তী ম্যাচ থেকেই ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন মাহমুদউল্লাহ, ‘আমার মনে হয় আমরা মোমেন্টামটা পাচ্ছি না। ম্যাচ জিততে হলে আপনি আগে ব্যাটিং করেন বা বোলিং করেন আপনাকে সুযোগ তৈরি করতে হবে। আমার মনে হয় আমরা সেটাই করতে পাচ্ছি না।’
বোলিংয়ে সুযোগ তৈরি করতে না পারাকেও দায় দিচ্ছেন রিয়াদ, ‘প্রথম ম্যাচটা যদি দেখি আফগানিস্তানের সাথে বোলাররা ভালো করেছে দেখেই কাজটা আমাদের জন্য সহজ হয়ে গিয়েছিল। পরের ম্যাচগুলোতে আমরা সেই সুযোগটা তৈরি করতে পারছি না। আমরা আলোচনা করছি, মিটিং করছি— কিন্তু প্রয়োগ ঘটাতে পারছি না। চেষ্টা করব পরের ম্যাচে যেন তেমনটা করতে পারি।
বিএসডি / এলএম