চিকিৎসক নিয়োগে ৪২তম বিশেষ বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষা ও চিকিৎসকদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (এফসিপিএস) লিখিত পরীক্ষা একই সময়ে হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ওই সময়ে পরীক্ষা থাকা চিকিৎসকেরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চিকিৎসকদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (এফসিপিএস) লিখিত পরীক্ষা জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে হবে বলে ঘোষণা এসেছে। এতে প্রথম সপ্তাহে যে চিকিৎসকেরা ৪২তম বিসিএসের ভাইভায় অংশ নেবেন, তাঁদের একই দিনে দুই পরীক্ষা হওয়ায় তাঁরা উভয়সংকটে পড়েছেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা বলছেন, এফসিপিএস পরীক্ষা পেছানোর সুযোগ নেই। আগামী শনিবার একটি সভা আছে, সেখানে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
বিসিএস চলাকালে চিকিৎসকদের পোস্ট গ্র্যাজুয়েট (এফসিপিএস) লিখিত পরীক্ষা পেছানো হবে কি না, জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এ পরীক্ষা পেছানোর কোনো ইচ্ছা আমাদের নেই। কিছু করারও নেই।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বর্তমান কোভিড সংক্রমণের হার পুনরায় ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় সরকার চিকিৎসক নিয়োগের জন্য ৪২তম বিশেষ বিসিএস আয়োজন করে। এ পরীক্ষার ভাইভা ২৩ মে থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা প্রাথমিকভাবে বন্ধ রাখলেও ৬ জুন থেকে তা আবার শুরু করে। এ সিদ্ধান্তকে সব চিকিৎসক সাধুবাদ জানান এবং ভাইভা দিয়ে দ্রুত করোনাকালীন চিকিৎসাসেবায় নিয়োগপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য সচেষ্ট হন। এ পরীক্ষা আগামী ১৩ জুলাই শেষ হবে।
অপর দিকে চিকিৎসকদের পোস্ট–গ্র্যাজুয়েশন (এফসিপিএস) লিখিত পরীক্ষা সম্প্রতি জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস (বিসিপিএস)। এতে প্রথম সপ্তাহে যে চিকিৎসকেরা ৪২তম বিসিএস ভাইভায় অংশ নেবেন, তাঁদের একই দিনে দুই পরীক্ষা হওয়ায় তাঁরা উভয়সংকটে পড়েছেন।
অপর দিকে সারা দেশের ২২ জেলায় করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় কঠোর স্বাস্থ্যবিধি জারি করা হয়েছে এবং কয়েকটি জেলায় কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। বর্তমান মহামারি নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি কর্ম কমিশন ৪২তম বিসিএস ভাইভায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি বোর্ডে মাত্র ২০ জন করে ১১টি পৃথক বোর্ডে প্রতিদিন ২২০ জনের ভাইভা গ্রহণ করছে, যাতে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে।
অথচ প্রায় ৪ হাজার ৫০০ চিকিৎসকের একত্রে এফসিপিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণে স্বাস্থ্যঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তাই বর্তমান কোভিড পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিসিপিএস কর্তৃপক্ষ করোনার সংক্রমণ কিছুটা কমার পর এফসিপিএসের তারিখ পুনর্নির্ধারণ করবেন বলে চিকিৎসকদের প্রত্যাশা।