নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঝিনাইদহের স্বপ্নদৃষ্টা সাইদুল করিম,ঝিনাইদহ নবগঙ্গা নদীর ধারে নির্মিত দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে স্থাপত্য শিল্পের জন্য পৃথিবী বিখ্যাত আগা খান পুরস্কার গ্রহণ করেছেন ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র জনাব সাইদুল করিম।
গত (৩১ অক্টোবর) ,স্থাপত্যশিল্পের জন্য আগা খান পুরস্কারটি ওমানের রাজধানী মাস্কাটের রয়েল অপেরা হাউজ অব মিউজিক্যাল আর্টস সালতানাতে প্রদান করা হয়। এ অনুষ্টানে বাংলাদেশ থেকে আরও দুইজন স্থাপত্যবিদ খন্দকার হাসিবুল কবির, সুহেলী ফারজানাকে উক্ত পুরস্কারে ভূষিত করা হয়। নান্দনিক স্থাপনা সব সময়ই দৃষ্টি আকর্ষণ করে, মন জুড়িয়ে নেয়। তার সঙ্গে যদি সার্বিক ভাবে জীবনের গুণগত মানোন্নয়নের দিক বিবেচনায় থাকে, তা হয় সব থেকে আলাদা।
ব্রিটিশ আমলের ঐতিহাসিক ঝিনাইদহ শহরের প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত দেবদারু এভিনিউ বর্তমানে রূপন্তরিত পৌর ইকোপার্ক।শতবর্ষী গাছ বাঁচিয়ে শহরের মানুষের জন্য করা হয়েছে বসার জায়গা। প্রকৃতি আর মানুষের সহাবস্থানের নকশা জিতে নিয়েছে আগা খান স্থাপত্য পুরস্কার।
আন্তর্জাতিক আগাখান অ্যাওয়ার্ড ফর আর্কিটেকচার ২০২২ এ সংক্ষিপ্ত তালিকার ২০টি প্রকল্পের মধ্যে স্থান পেয়েছে ঝিনাইদহের এ ইকো পার্ক। ঝিনাইদহের ইকো পার্ককে বিশ্বের ৪৬৩টি প্রকল্প থেকে নির্বাচকরা বাছাই করেছেন। প্রতি তিন বছর পর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। নারী ও পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ ঝিনাইদহের সর্বস্তরের জনসাধারণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নবগঙ্গা নদীর তীরবর্তী এলাকা পরিষ্কার করে নদীতে অভিগম্যতা বাড়ানোর এই প্রকল্প সাবেক মেয়রের পরিকল্পনায় স্থানীয় নির্মাণ কৌশল ও সহজলভ্য উপাদান ব্যবহার করে সুবিবেচনাপূর্ণ ও সাদামাটা প্রকল্পটি গড়ে তোলা হয়। এটি স্থানীয়দের কাছে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।
এই প্রকল্পের আওতায় নদী তীরবর্তী পরিত্যক্ত ময়লার ভাগাড়কে একটি আকর্ষণীয় বহুমুখী স্থানে পরিণত করা হয়েছে। এরই মধ্যে ঝিনাইদহের মানুষের কাছে এটি ব্যাপক সমাদৃত হয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে নদী ও নদী তীরবর্তী অঞ্চলে পরিবেশ দূষণ ও স্বাস্থ্য বিপর্যয় যেমন রোধ করা গেছে, তেমনি নদীর স্বাভাবিক বাস্তুসংস্থানেরও উন্নতি হয়েছে।
এই ইকোপার্কটির জনগুরুত্ব বৃদ্ধির বিশেষ কারণ, ক্রমশ বিস্তৃত ঝিনাইদহ শহরে যখন সাধারণ মানুষের একটু নিরিবিলি পরিবেশে সময় কাটানোর কোন স্থান ছিল না, তখনই বিশেষ ব্যতিক্রমী সময়োপযোগী ইঞ্জিনিয়ারিং প্লানের মাধ্যমেই স্থাপনাটি ঝিনাইদহ পৌরসভার সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টুর আগ্রহে গড়ে ওঠে এই ইকোপার্কটি। পার্কটির উত্তর পাশ ঘেষে ঝিনাইদহ শহরের প্রাণস্পন্দন নবগঙ্গা নদী আর ঠিক এর তীর ঘেষে গড়ে তোলা হয় নান্দনিক শিল্পসমৃদ্ধ স্থাপনা।
এ দেবদারু এভিনিউ এর পাশঘিরে অবস্থান করছে কয়েকটি জনগুরুত্বপর্ণ সরকারি বেসরকারি দপ্তর। এর মধ্যে রেজিস্ট্রি অফিস, শিল্পকলা একাডেমি, জেলা প্রশাসক বাংলো, আছে পুরাতন জেলখানা, আইন মহাবিদ্যালয় ইত্যাদি। জেলা শহরের গুরুত্বপূর্ণ প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত পার্কটি সপ্তাহে ৭দিনই উন্মুক্ত থাকে সর্বসাধারণের জন্য। বিনামূল্যে প্রবেশাধিকার। ভেতরে রয়েছে কয়েকটি খাবারে দোকান।
বিনা পারিশ্রমিকে ডিজাইন করা প্রকৌশলী খোন্দকার হাসিবুল কবির জানান, করা কাজের স্বীকিৃতি সবাইকেই আনন্দ দেয়। আমাদের এ কাজ এমন পুরস্কার পাবে তা কখনো ভাবিনি । এ ধরনের কাজ করতে পারাটাও ভাগ্যের ব্যাপার । নদী এবং প্রকৃতিকে মিলিয়ে আমাদের এ ইকো পার্ক গঠিত হয়েছে। প্রকৌশলী খোন্দকার হাসিবুল কবিরের স্ত্রী প্রকৌশলী সোহেলী ফারজানাসহ আরো অন্তত ৫০ জন ডিজাইনার ও প্রকৌশলীরা এ মহাকর্মযজ্ঞে অংশ নেই ।
ইকো পার্কটি তৈরিতে প্রধান উদ্যক্তা সাবেক পৌর মেয়র সাইদুল করিম জানান, ভালো কাজ করতে সবসময়ই ঝুকি নিতে হয়। আমরা সবাই মিলে নদীকে দখলমুক্ত করতে চেয়েছি । প্রকৃতির নিজস্ব সৌন্দর্য রেখে এ কাজটি করেছি । এমন পুরস্কার পাবো তা কখনো চিন্তা করিনি। এ প্রাপ্তি পুরো দেশের । ঝিনাইদহ পৌর ইকো পার্ক তৈরিতে এখনও পর্যন্ত খরচ হয়েছে ২ কোটি টাকা । যার মধ্যে ইউজিপির টাকা ১ কোটি ১৫ লাখ আর বাকী টাকা ঝিনাইদহ পৌরসভার নিজস্ব অর্থায়নে তৈরী। পুরোটা শেষ করতে ৫ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানান সাইদুল করিম।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ এর সাধারন সম্পাদক,সাবেক ঝিনাইদহ পৌর সভার মেয়র, ঝিনাইদহের জনগনের ভালোবাসা আর জননেত্রী শেখ হাসিনা আস্থা ও বিশ্বাস এর মর্যাদা রক্ষা করে যিনি দীর্ঘদিন রাজনীতি করেছেন, অভিরাম ছুটে চলেছেন অসহায় মানুষের পাশে, মানবতার ফেরিওয়ালা নিরন্তর ছুটে চলা একজন, মহানুভব দয়ালু, মানবতার অকৃত্রিম বন্ধু তারই নাম সাইদুল করিম মিন্টু।
সাইদুল করিম মিন্টু’ই ঝিনাইদহের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন মাঠপর্যায় কঠোর পরিশ্রম করেছেন। সাইদুল করিম মিন্টু ভাই ছাত্রলীগ করেছেন ঝিনাইদহ জেলাতে দাপটের সাথে এবং তিনি বর্তমান সময়ের অনেক ছাত্রলীগ নেতার আইকন।
১৯৭৮সালে ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চ বালক বিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে রাজনীতিতে প্রবেশ। ১৯৮২সালে মহকুমা ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং এরশাদ সামরিক সরকারের মার্শাল লআইনে কারাবরণ করেন।১৯৮৩সালে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করেন। ঢাকায় অবস্থান কালে মধ্য ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষা ভবনের সামনে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন এবং গ্রেফতার হন। ঐ আন্দোলনে জাফর জয়নাল কাঞ্চন দীপালী সাহা সহ কয়েক জন ছাত্র নেতা নিহত হন।
১৯৮৪ বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।১৯৮৫ এরশাদ সরকারের প্রহসনমূলক উপজেলা নির্বাহী বর্জনের মিছিলে গ্রেফতার হন এবং আন্দোলনরত ছাত্রনেতা হিসেবে কারাবরণ করেন।১৯৮৬ ৭ই মে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫ দল (আওয়ামী লীগ) কর্তৃক মনোনীত প্রার্থী মরহুম এ্যাড. আয়ুব হোসেরন নির্বাচনী প্রচারণায় অন্যতম ভূমিকা রাখেন এবং নির্বাচনে সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন।১৯৮৭ জননেত্রী শেখ হাসিনা যশোর থেকে ফরিদপুর গমন উপলক্ষে সড়কপথে ঝিনাইদহ আসার সময় সাইদুল করিম মিন্টুর নেতৃত্বে শাপলা চত্ত্বরে (বর্তমানে পায়রা চত্ত্বর) ছাত্রলীগ কর্মীরা আপনাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করেন এবং মটর শোভাযাত্রা করে কামারখালি ফেরিঘাট পর্যন্ত পৌছে দেন।
১৯৮৮ সালে স্মরণ কালের ভয়বহ বন্যায় অসহায় বন্যার্ত মানুষের জনামাল রক্ষায় পাশে দাড়ান। ফ্রিডম পাটির জনসভায় কর্নেল ফারুক গংদের প্রতিরোধ আক্রমন করে জনসভা ভন্ডুল ও ঝিনাইদহ থেকে বিতাড়িত করেন ও নিজেও মারাত্মক আহত হন এবং পরবর্তীতে কারাবরণ করেন।
১৯৮৯ সালে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক নির্বাচিত হন।
১৯৯২ সালে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের কনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত ভারতের অযোদ্ধায় বাবরি মসজিদ হামলায় সাম্প্রদায়ীক দাঙ্গা শুরু হলে ঝিনাইদহে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের পাশে দাড়ান এবং স্থানীয় সমমনা রাজনৈতিক দল সমূহকে একত্রিত করে আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং নৈশকালীন পাহারার ব্যবস্থা করেন। সে সময় তিনি- হিন্দু নয় মুসলিম নয় আমরা সবাই বাঙালি তুমি কে আমি কে বাঙালি। বাঙালি স্লোগান এবং কর্মসূচি গ্রহণের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করেন।
১৯৯৩-১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ঝিনাইদহ জেলা শাখার আহ্বায়ক নিবৃাচিহন হন এবং আওয়ামী লীগের কনিষ্ঠ সদস্য হিসেবে আওয়ামী লীগ যুবলীগ ছাত্রলীগকে সংগঠিত করে রাজনৈতিক কর্মসূচী গ্রহণ করেন।
১৯৯৭ সালে সক্রিয় সাবেক ছাত্রলীগ কর্মীদের নিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের নতুন আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে তাদেরকে রাজনৈতিক ভাবে পুনর্বাসন করে জেলা আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করেন। ১৯৯৮ সালে শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যার সময় থেকেম থাকেনি সাইদুল করিম মিন্টু। কর্মীদের সাথে নিয়ে দক্ষিণ-পশ্চিম জেলাগুলোতে ত্রাণ তৎপরতা পরিচালনা করেন।
১৯৯৯-২০০০ জেলার সকল অঙ্গ সংগঠনকে সাথে নিয়ে শ্রমিকলীগ গঠনে ব্যস্ত হন। এসময়ে জেলা শ্রমিক লীগ গঠন করে আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় করে তোলেন।
২০১১সালে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে মনোনয়ন নিয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হন। শুধুমাত্র জনপ্রিয়তা এবং সাধারণ মানুষের নৌকার প্রতি ভালোবাসার কারণে জয়লাভে সমর্থ হন। নির্বাচনে আওয়ামী বিদ্রোহী প্রার্থী এবং স্থানীয় দলীয় কতিপয় ব্যক্তি আবারো তাকে পরাজিত করতে সক্রিয় ষড়যন্ত্র করে ব্যর্থ হয়।
২০১২সালে ঝিনাইদহ পৌরসভা থেকে জাগরণের ৩৬৫ দিন উদযাপন । জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন এবং ঝিনাইদহ পৌরসভার উন্নয়ন ও উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠান স্থানীয়ভাবে দারুণভাবে সাড়া জাগায় ।
২০১৩সালে ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র এর উদ্যোগে ‘প্রেরণা৭১’ এর নির্মাণ । ৮ অক্টোবর ২০১৩ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঝিনাইদহে এসে উপস্থিত থেকে উদ্বোধন করেন।
২০১৫সালে ২৫মার্চ ২০১৫খ্রি. তারিখে জাতীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে তিনি সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পরে সাংগঠনিক ভাবে দলকে শক্তিশালী করার লক্ষে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের নির্দেশে ইতিমধ্যে ঝিনাইদহ সদর ও হরিণকুন্ডুর ১৩ টি ইউনিয়নে সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত¦ সৃষ্টি করেন।
২০১৬ সালে ঝিনাইদহ পৌরসভার উদ্যোগে প্রেরণা চত্বরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তর শহীদ মিনার নির্মাণ। ২০ ফেব্রুয়ারি২০১৬ তারিখে ভাষা শহীদ আলতাফ মাহমুদের কন্যা শাওন মাহমুদ এটি উদ্বোধন করেন।
২০১৮সালে১লা সেপ্টেম্বর সিআরআই এর ইয়াং বাংলা প্রদত্ত ২০১৫ এবং ২০১৭ সালে ‘জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড ’ প্রাপÍ সারা বাংলাদেশের ৬০ জন ইয়ুথ আইকন ও সংগঠনদের ‘আমি ঠিক দেশ ঠিক’ স্মারক সম্মাননা প্রদান করেন।উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জনাব জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি।
পরিচ্ছন্ন রাজনীতির আইকন হিসাবে ঝিনাইদহের জনগন মিন্টু ভাইকে মূল্যায়ন করে। এর জন্য তিনি শুধু রাজপথে রাজনীতি করে জনগনের হৃদয় জয় করেন নাই, তিনি সামাজিক কর্মকান্ডে নিজেকে উৎস্বর্গ করেছে দিন রাত। সমাজসেবা বলতে যদি কিছু বোঝা যায় তবে তাকে অনুসরণ করলে জানা যাবে।
ঝিনাইদহের পৌর এলাকার এমন কোন মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, গীর্জা, নাই যেখানে সাইদুল করিম মিন্টু ভাইয়ের অনুদান নাই।ওয়াজ মাহফিল, ইফতার পার্টি, বড় দিন, পূজা সকল ধর্মের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে তার অংশগ্রহণ এর মাধ্যমে সামাজিক সম্পর্ক দৃঢ়ভাবে সৃষ্টি করেন।বিভিন্ন সমস্যাই গনসচেতনতায় বৃদ্ধির লক্ষে কাজ করে।
সাইদুল করিম মিন্টু বলেন,ইনশাহ্ আল্লাহ্ আমি পুনরায় সাধারন সম্পাদকের দায়িত্ব পেলে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অনুযায়ী প্রিয়নেত্রীর আস্থা ও বিশ্বাস এর মর্যাদা রক্ষা করে ৭৫ পরবর্তী ৯৬ পর্যন্ত আওয়ামীলীগ এর সর্বোচ্চ দুর্দিনের ত্যাগী জীবনবাজী রাখা নেতাকর্মী ও ১/১১ সহ সংগঠন এর সকল দু:সময়ের জানবাজী রাখা রাজপথের সাহসী যেমন ৯৬ /২০০৮ পরবর্তী ক্ষমতার স্বাদ গ্রহনের পর হারিয়ে যাওয়া মুজিব আদর্শের অভিমানী দেশপ্রেমিক-ত্যাগী-নির্লোভ আত্ম সন্মানবোধী ও রাজপথে মুজিবকন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনার নেতৃত্বের সাহসী অবহেলিত সন্মানীত নেতাকর্মী সহ আলোকিত ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগ গড়তে আগামী ১৩ নভেম্বর ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে নির্বাচিত সভাপতির সাথে একই মতাবলম্বী হয়ে কাজ করবো !
তাই সকল প্রকার অন্যায়, অনিয়ম ও দুর্নীতির বিপক্ষে জাতিরজনকের যোগ্যকন্যা মাতৃসম নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার চলমান শুদ্ধি অভিযানে প্রিয় নেত্রীর একজন যোগ্য কর্মী হয়ে সংগঠন ও বর্তমানে ঝিনাইদাহ’র সুবিধাবাদী লুটেরা আংগুলফুলে বটগাছ নির্ভর কালোটাকার মালিকদের দৌরাত্ম্য থেকে “নীতির রাজা রাজনীতি”র মাঠকে পরিচ্ছন্ন করার স্বার্থে আমার প্রিয় সকল স্তরের দুর্দিনের সাথী সন্মানীত অগ্রজ, স্নেহের অনুজও সহযোদ্ধাদের দোয়া ও সার্বিক সহযোগীতা বিনীত ভাবে প্রার্থনা করছি!আপনারা সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন! জয় বাংলা-জয় বঙ্গবন্ধু ।
বিএসডি/এফএ