নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীর কয়লাঘাট অংশে রবিবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে রুপসী-৯ নামে কার্গো জাহাজের ধাক্কায় মুন্সিগঞ্জগামী লঞ্চ এমভি আশরাফ উদ্দিন ডুবে যায়। এসময় লঞ্চটিতে প্রায় ৭০ জনের মত যাত্রী ছিল বলে লঞ্চে থাকা বেঁচে ফেরা কয়েকজন দাবি করেছেন।
ডুবে যাওয়া সেই যাত্রীবাহী লঞ্চের একজন যাত্রী ছিলেন মোকছেদা বেগম। লঞ্চ ডুবে যাওয়ার পর একটি বস্তা ধরে ভেসে ছিলেন তিনি। পরে একটি ট্রলার এসে তাকে উদ্ধার করলে প্রাণে বেঁচে যান তিনি।
নারায়ণগঞ্জ ৩শ’ শয্যা হাসপাতালে পরিচ্ছন্নকর্মী হিসেবে কাজ করেন মোকছেদা। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, দুপুর ২টার কিছুক্ষণ আগে নারায়ণগঞ্জ সেন্ট্রাল লঞ্চঘাট থেকে ছেড়ে আসে যাত্রীবাহী লঞ্চটি। লঞ্চটিতে অর্ধশতাধিক যাত্রী ছিলেন। কার্গো জাহাজটি যখন পেছন থেকে লঞ্চটিকে ঠেলছিল তখন দোতলায় ছিলেন মোকছেদা। লঞ্চটি ডুবে যাওয়ার পর নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। এরপর নদীতে ভেসে থাকা একটি বস্তা আকড়ে ধরেন তিনি। পরে একটি ট্রলার এসে তাকে উদ্ধার করে।
মোকছেদা বলেন, ‘আল্লাহ জানে বাঁচাইছে। নইলে আজকে বাঁচতাম না। অনেক লোক তীরে উঠতে পারে নাই। আমিও পারতাম না। হায়াত আছে দেইখা বাঁচছি। একটা বস্তা ধইরা ভাইসা ছিলাম।’
এদিকে, এমভি আশরাফ উদ্দিন নামে ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। এসময় লঞ্চের ভেতরে কোন মরদেহ দেখা যায়নি।
সোমবার ভোরে লঞ্চটি উদ্ধার করে বিআইডব্লিউটিএ’র উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। উদ্ধার কাজে অংশ নেয় ফায়ার সার্ভিস, নৌ-পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল, কোস্ট গার্ডসহ একাধিক সংস্থা।
ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নারায়ণগঞ্জের উপ সহকারী পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফীন জানান, ডুবে যাওয়া লঞ্চটি উদ্ধার করা হয়েছে, ভেতরে প্রাথমিকভাবে আমরা কোন মরদেহ পাইনি।
বিএসডি/ এলএল