বিএনপি বলছে, মাত্র একটি প্রতিষ্ঠানকে টিকা সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছিল আত্মঘাতী। একটি মাত্র উৎস থেকে ভ্যাকসিন সংগ্রহ করার সিদ্ধান্ত যে আত্মঘাতী হতে পারে, সে বিষয়ে বিএনপি বরাবরই সতর্ক করে এসেছে।
আজ সোমবার দুপুরে ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। ১৭ এপ্রিল অনুষ্ঠিত দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় কোভিড-১৯-এর টিকা আমদানিতে সরকারের এবং আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যর্থতা ও দুর্নীতিতে টিকা প্রাপ্তি অনিশ্চিত হয়ে পড়ায় গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। আওয়ামী লীগ সরকার শুধু নিজেদের আর্থিক স্বার্থ হাসিলের জন্য সরকার নিজে আমদানি না করে তাদের পছন্দমতো চিহ্নিত দুর্নীতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দিয়ে এবং শুধু ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে। দেড় কোটি টিকার অগ্রিম মূল্য পরিশোধ করেও এখন পর্যন্ত দুই কিস্তিতে মাত্র ৭০ লাখ ডোজ পেয়েছে।
বিজ্ঞাপন
মির্জা ফখরুল বলেন, ভারত সরকারের রপ্তানি বন্ধের সিদ্ধান্তের কারণে সেরাম ইনস্টিটিউট বাকি টিকা পাঠাতে অপারগতা জানিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, এখন যে পরিমাণ মজুত আছে সেটাতে আগামী ১২ দিন চাহিদা মোতাবেক চলবে। কিন্তু তারপর আর সরবরাহ করা সম্ভব হবে না। এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ প্রায় ৫৬ লাখ এবং দ্বিতীয় ডোজ প্রায় ১৬ লাখ মোট ৭২ লাখ ডোজ টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। যেখানে হার্ড ইমিউনিটি আনতে কমপক্ষে ১২ কোটি ৫০ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া প্রয়োজন।
বিএনপির মহাসচিবের ভাষ্য, সরকার এখন অন্যান্য দেশের সঙ্গে যোগাযোগ করছে টিকার জন্য। অথচ এক বছর আগেই বিএনপি এ বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিল। সরকার জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে সমগ্র জাতিকে চরম স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়ে নিজেদের অযোগ্যতা, দায়িত্বহীনতা ও দুর্নীতির প্রমাণ দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।
জনগণকে চরম অনিশ্চয়তা ও জীবনের ঝুঁকি তৈরি করার অপরাধে সরকারকে অবশ্যই বিচারের সম্মুখীন হতে হবে উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, সভা মনে করে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর এ ব্যর্থতার দায় নিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করা উচিত।