নিজস্ব প্রতিবেদক
মাদারীপুরের শিবচরে দাঁড়িয়ে থাকা কাভার্ডভ্যান, মাইক্রোবাস ও যাত্রীবাহী বাসের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছে মাইক্রোবাসে থাকা দুই যাত্রী। একই সঙ্গে দুইজন গুরুতরসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে ভাঙ্গা-ঢাকা এক্সপ্রেসওয়ের শিবচর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নিকটবর্তী পদ্মা রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত মাসুদ বিশ্বাস (৫৫) ফরিদপুর জেলার সালথা থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের ধলা বিশ্বাসের ছেলে এবং নিহত ফিরোজা বেগম (২৬) একই এলাকার মামুন বিশ্বাসের স্ত্রী। তারা সম্পর্কে শ্বশুর ও পুত্রবধূ বলে জানা গেছে। দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিবচর হাইওয়ে পুলিশ।
হাইওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ফরিদপুর থেকে পরিবারের লোকজন নিয়ে ঢাকা যাচ্ছিলেন মাসুদ বিশ্বাস। পথিমধ্যে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের কুতুবপুর নামকস্থানে ঢাকামুখী লেনে দাঁড়িয়ে থাকা খানসন্স টেক্সটাইল লিমিটেডের একটি কাভার্ডভ্যানের পেছনে মাইক্রোবাসটি সজোরে ধাক্কা দেয়। এসময় পেছন থেকে আসা আরেকটি পূর্বাসা পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস মাইক্রোবাসটিকে চাপা দেয়। এতে কাভার্ডভ্যান ও বাসের মাঝেখানে পড়ে মাইক্রোবাসটি দুমড়ে মুচড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হন মাইক্রোবাসের যাত্রী মাসুদ বিশ্বাস ও ফিরোজা বেগম। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসের আরও দুই যাত্রী গুরুতরসহ আহত হন অন্তত ১৫ জন। খবর পেয়ে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে এসে আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এছাড়া অন্যান্য আহতরা বিভিন্ন ক্লিনিক থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। তবে আহতদের নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি।
মাদারীপুরের শিবচর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। নিহতদের মরদেহ এবং দুর্ঘটনা কবলিত গাড়ি তিনটি বর্তমানে হাইওয়ে পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। আহতদের পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।